বেলাবতে জমি নিয়ে ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে ৮ গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে দুইজন ও অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাজনাব ভাংগারঘাট নামকস্থানে। আহতরা জানান, বাজনাব ভাংগারঘাট গ্রামের মৃত গাজী আ. রহমান মিয়ার তিন ছেলে জহিরুল, নজরুল ও তাজুল ইসলামের ক্রয়কৃত ১৪ শতাংশ জমি তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে উক্ত জমি নিজের বলে দাবি করে একই গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে ইসতেকার আহমেদ ওরফে ফয়সাল মিয়া। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ভাইয়ের সঙ্গে ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জের ধরে দুই বছর আগে উল্লেখিত জমির ওপর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট আদালত নরসিংদীতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন জহিরুল ইসলাম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারির পরও উক্ত জমি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন সময় জমিতে কাজ করে উভয়পক্ষ। এ নিয়ে বাজনাব ভাংগারঘাট গ্রামের তিন ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে পৌছে ইসতেকার আহমেদ ওরফে ফয়সাল মিয়ার। উল্লেখিত দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় উক্ত জমিতে গত বুধবার সকালে কাজ করতে যায় তিন ভাই জহিরুল, নজরুল ও তাজুল ইসলাম। এ সময় দা লাঠি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ফয়সালের পক্ষে ইকবাল হোসেন, শাহজাহান, জুয়েল মিয়া, সাগর মিয়া, রবিন মিয়া, শাহীন মেম্বার, ফারুক মিয়া নামে বেশ কয়েকজন। এ সময় তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয় মৃত গাজী আ. রহমানের ছেলে তাজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম নামে তিন ভাই, স্ত্রী হামিদা বেগম ও ছেলের বউ সাথী আক্তার। অন্যদিকে ফয়সালের পক্ষে গুরুতর আহত হয় মৃত হারুন মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন, শাহীন মেম্বার, তাজুল ইসলামের ছেলে জামাল মিয়া। অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ বাড়িতে না থাকায় তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১ , ২৪ পৌষ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
সংবাদদাতা, বেলাব (নরসিংদী)
বেলাবতে জমি নিয়ে ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে ৮ গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে দুইজন ও অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাজনাব ভাংগারঘাট নামকস্থানে। আহতরা জানান, বাজনাব ভাংগারঘাট গ্রামের মৃত গাজী আ. রহমান মিয়ার তিন ছেলে জহিরুল, নজরুল ও তাজুল ইসলামের ক্রয়কৃত ১৪ শতাংশ জমি তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে উক্ত জমি নিজের বলে দাবি করে একই গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে ইসতেকার আহমেদ ওরফে ফয়সাল মিয়া। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ভাইয়ের সঙ্গে ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জের ধরে দুই বছর আগে উল্লেখিত জমির ওপর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট আদালত নরসিংদীতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন জহিরুল ইসলাম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারির পরও উক্ত জমি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন সময় জমিতে কাজ করে উভয়পক্ষ। এ নিয়ে বাজনাব ভাংগারঘাট গ্রামের তিন ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে পৌছে ইসতেকার আহমেদ ওরফে ফয়সাল মিয়ার। উল্লেখিত দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় উক্ত জমিতে গত বুধবার সকালে কাজ করতে যায় তিন ভাই জহিরুল, নজরুল ও তাজুল ইসলাম। এ সময় দা লাঠি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ফয়সালের পক্ষে ইকবাল হোসেন, শাহজাহান, জুয়েল মিয়া, সাগর মিয়া, রবিন মিয়া, শাহীন মেম্বার, ফারুক মিয়া নামে বেশ কয়েকজন। এ সময় তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয় মৃত গাজী আ. রহমানের ছেলে তাজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম নামে তিন ভাই, স্ত্রী হামিদা বেগম ও ছেলের বউ সাথী আক্তার। অন্যদিকে ফয়সালের পক্ষে গুরুতর আহত হয় মৃত হারুন মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন, শাহীন মেম্বার, তাজুল ইসলামের ছেলে জামাল মিয়া। অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ বাড়িতে না থাকায় তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।