ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টগণসহ বিশ্বব্যাপী নিন্দা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশ্বনেতারা। ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও এ ঘটনাকে পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশেও এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয় না। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।

বিদেশি নেতাদের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাতের ঘটনায় কানাডিয়ানরা প্রচণ্ড বিরক্ত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে লজ্জাজনক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের?’ নিন্দা জানিয়েছেন।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।’ ক্যাপিটল হিলের ঘটনাকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র তার এই অভ্যন্তরীণ সংকট শান্তিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে। আর সেটি হচ্ছে এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।

শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১ , ২৪ পৌষ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টগণসহ বিশ্বব্যাপী নিন্দা

image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশ্বনেতারা। ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও এ ঘটনাকে পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশেও এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয় না। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।

বিদেশি নেতাদের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাতের ঘটনায় কানাডিয়ানরা প্রচণ্ড বিরক্ত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে লজ্জাজনক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের?’ নিন্দা জানিয়েছেন।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।’ ক্যাপিটল হিলের ঘটনাকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র তার এই অভ্যন্তরীণ সংকট শান্তিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে। আর সেটি হচ্ছে এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।