খুলনার পাইকগাছায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখ টাকায় আয়াপদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত নিয়োগের বিষয়টি পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়ায় ১২ পরীক্ষার্থীর ৮ জন পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাইনমুখী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৪ জানুয়ারি সকালে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আয়াপদে নিয়োগের জন্য পাইকগাছা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়।
সেখানে টাকার বিনিময়ে মিনাক্ষী রায় নামে একজনকে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানতে পেরে ৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেন। সতী রানী নামে একজন নিয়োগপ্রার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ রায় আমার সঙ্গে ৯ লাখ টাকায় নিয়োগ চূড়ান্ত করেন। পরে তিনি ১০ লাখ টাকায় মিনাক্ষী নামের একজনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন। এ কথা জানতে পেরে আমি নিয়োগ পরীক্ষা বর্জন করি।
আরেক পরীক্ষার্থী কাকলী রানী মণ্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক আয়াপদে নিয়োগের জন্য আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি ৭ লাখ দিতে রাজি হই। তারপর জানতে পারলাম ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মিনাক্ষী নামে একজনের চাকরি চূড়ান্ত হয়েছে। এরপর আমরা ৮ পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আয়াপদে নিয়োগ পরীক্ষায় ৪ জন অংশগ্রহণ করলেও বাকিরা আসেনি। গত ৫ জানুয়ারি মিনাক্ষী রায় নামে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্র নাথ রায় নিয়োগ পরীক্ষায় কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন।
শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১ , ২৪ পৌষ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
খুলনা ব্যুরো
খুলনার পাইকগাছায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখ টাকায় আয়াপদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত নিয়োগের বিষয়টি পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়ায় ১২ পরীক্ষার্থীর ৮ জন পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাইনমুখী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৪ জানুয়ারি সকালে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আয়াপদে নিয়োগের জন্য পাইকগাছা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়।
সেখানে টাকার বিনিময়ে মিনাক্ষী রায় নামে একজনকে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানতে পেরে ৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেন। সতী রানী নামে একজন নিয়োগপ্রার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ রায় আমার সঙ্গে ৯ লাখ টাকায় নিয়োগ চূড়ান্ত করেন। পরে তিনি ১০ লাখ টাকায় মিনাক্ষী নামের একজনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন। এ কথা জানতে পেরে আমি নিয়োগ পরীক্ষা বর্জন করি।
আরেক পরীক্ষার্থী কাকলী রানী মণ্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক আয়াপদে নিয়োগের জন্য আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি ৭ লাখ দিতে রাজি হই। তারপর জানতে পারলাম ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মিনাক্ষী নামে একজনের চাকরি চূড়ান্ত হয়েছে। এরপর আমরা ৮ পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আয়াপদে নিয়োগ পরীক্ষায় ৪ জন অংশগ্রহণ করলেও বাকিরা আসেনি। গত ৫ জানুয়ারি মিনাক্ষী রায় নামে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্র নাথ রায় নিয়োগ পরীক্ষায় কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন।