রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই অর্ধশতাধিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই বিয়ের ৩ বছরের মধ্যে এ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত ডিসেম্বর মাসেই অর্ধশতাধিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইসলামপুর ইউনিয়নে ৭ জন, নবাবপুর ইউনিয়নে ৭ জন, বহরপুর ইউনিয়নে ৩ জন, নারুয়া ইউনিয়নে ৬ জন, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নে ৪ জন ও জামালপুর ইউনিয়নে ১ জনসহ মোট ২৭টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র এ বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ ইউনিয়ন পরিষদে এসেছে। এছাড়াও পারিবারিকভাবেও অনেক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন তালাকপ্রাপ্তা নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন ভালো চলে। এরপর নতুন সংসারে মানিয়ে তুলতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় শাশুড়িরা পুত্রবধূ হিসেবে দেখার কারণে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। তবে মেয়ে হিসেবে দেখলে এ সমস্যা হয় না। আবার অনেকে সময় স্বামী বিদেশ থাকার কারণে মোবাইল ব্যবহার করায় সন্দেহের বশতঃ ভাঙ্গছে সংসার। তবে বেশিরভাগই কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিসেম্বর মাসে ৭টি ইউনিয়নে ২৭টি বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ (তালাকনামা) এসেছে। এভাবে প্রতিমাসেই আনুপাতিক হারে তালামনামা আসছে। এদের বেশিরভাগ বিচ্ছেদের ঘটনা বিয়ের ৩ বছরের মধ্যে ঘটছে।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, আমরা প্রতিটি ডিবোসের ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করি। অনেক সংসার পুনরায় হলেও বেশিরভাগই দু’পক্ষ বিচ্ছেদের পক্ষে অবস্থান করায় বিচ্ছেদ বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বাকি সবই দু’পক্ষ গ্রাম্যভাবে বা আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটছে। তবে এ বিষয়ে উভয়পক্ষের নমনীয় হলে বিচ্ছেদ হ্রাস পাবে।
শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই অর্ধশতাধিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই বিয়ের ৩ বছরের মধ্যে এ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত ডিসেম্বর মাসেই অর্ধশতাধিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইসলামপুর ইউনিয়নে ৭ জন, নবাবপুর ইউনিয়নে ৭ জন, বহরপুর ইউনিয়নে ৩ জন, নারুয়া ইউনিয়নে ৬ জন, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নে ৪ জন ও জামালপুর ইউনিয়নে ১ জনসহ মোট ২৭টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র এ বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ ইউনিয়ন পরিষদে এসেছে। এছাড়াও পারিবারিকভাবেও অনেক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন তালাকপ্রাপ্তা নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন ভালো চলে। এরপর নতুন সংসারে মানিয়ে তুলতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় শাশুড়িরা পুত্রবধূ হিসেবে দেখার কারণে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। তবে মেয়ে হিসেবে দেখলে এ সমস্যা হয় না। আবার অনেকে সময় স্বামী বিদেশ থাকার কারণে মোবাইল ব্যবহার করায় সন্দেহের বশতঃ ভাঙ্গছে সংসার। তবে বেশিরভাগই কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিসেম্বর মাসে ৭টি ইউনিয়নে ২৭টি বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ (তালাকনামা) এসেছে। এভাবে প্রতিমাসেই আনুপাতিক হারে তালামনামা আসছে। এদের বেশিরভাগ বিচ্ছেদের ঘটনা বিয়ের ৩ বছরের মধ্যে ঘটছে।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, আমরা প্রতিটি ডিবোসের ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করি। অনেক সংসার পুনরায় হলেও বেশিরভাগই দু’পক্ষ বিচ্ছেদের পক্ষে অবস্থান করায় বিচ্ছেদ বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বাকি সবই দু’পক্ষ গ্রাম্যভাবে বা আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটছে। তবে এ বিষয়ে উভয়পক্ষের নমনীয় হলে বিচ্ছেদ হ্রাস পাবে।