গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা বাজারে দরপতন হলেও চাল, ডাল, তেল, মসলার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। করোনাকালীন সময়ে সীমিত আয়ে সংসার চালাতে ধার দেনা করতে হচ্ছে তাদের । আটোবাইক, রিক্সা, ভ্যান চালিয়ে এবং দিনমজুরের কাজ করে চাল ডাল ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ হতে ৭০ টাকায়। প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ হতে ১৩০ টাকায়।
গত ৬ মাস পূর্বে প্রতিকেজি চাল ৩০ হতে ৪০ টাকায় এবং প্রতিলিটার তেল ৯৫ হতে ১০৫ টাকায় বিক্রি হত। প্রতিদিন চালের দাম বেড়েই চলছে।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি আলু ১৫ হতে ২৫ টাকা, বেগুন ১৫ হতে ২০ টাকা, মরিচ ৫০ হতে ৬০ টাকা, পিয়াজ ৩০ হতে ৪০টাকা, কপি ৫ হতে ৮ টাকা, সিম ৩০ হতে ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ হতে ৫০ টাকা, গাঁজর ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন স্থানীয় সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় প্রতিনিয়ত দাম কমছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের রাজমিস্ত্রী হাফিজার রহমান জানান হেড মিস্ত্রীর হাজিরা ৪৫০ টাকা এবং জোগালির হাজিরা ৩৫০ টাকা। প্রতিদিনের হাজিরা দিয়ে প্রতিদিনে খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
যার কারণে এনজিওতে লোন নিতে হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া জানান সরকারিভাবে চালের সঙ্কট হবে না। তবে বাজারে দাম একটু বেশি। চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভাল না হওয়ায় একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা বাজারে দরপতন হলেও চাল, ডাল, তেল, মসলার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। করোনাকালীন সময়ে সীমিত আয়ে সংসার চালাতে ধার দেনা করতে হচ্ছে তাদের । আটোবাইক, রিক্সা, ভ্যান চালিয়ে এবং দিনমজুরের কাজ করে চাল ডাল ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ হতে ৭০ টাকায়। প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ হতে ১৩০ টাকায়।
গত ৬ মাস পূর্বে প্রতিকেজি চাল ৩০ হতে ৪০ টাকায় এবং প্রতিলিটার তেল ৯৫ হতে ১০৫ টাকায় বিক্রি হত। প্রতিদিন চালের দাম বেড়েই চলছে।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি আলু ১৫ হতে ২৫ টাকা, বেগুন ১৫ হতে ২০ টাকা, মরিচ ৫০ হতে ৬০ টাকা, পিয়াজ ৩০ হতে ৪০টাকা, কপি ৫ হতে ৮ টাকা, সিম ৩০ হতে ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ হতে ৫০ টাকা, গাঁজর ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন স্থানীয় সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় প্রতিনিয়ত দাম কমছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের রাজমিস্ত্রী হাফিজার রহমান জানান হেড মিস্ত্রীর হাজিরা ৪৫০ টাকা এবং জোগালির হাজিরা ৩৫০ টাকা। প্রতিদিনের হাজিরা দিয়ে প্রতিদিনে খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
যার কারণে এনজিওতে লোন নিতে হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া জানান সরকারিভাবে চালের সঙ্কট হবে না। তবে বাজারে দাম একটু বেশি। চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভাল না হওয়ায় একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।