পায়রা হাবে আরএনপিএলের অগ্রগতি পৌনে ২৭ শতাংশ

আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের (আরএনপিএল) উদ্যোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীণ আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পায়রা “পাওয়ার হাব” এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, আরএনপিএলের জন্য অধিগ্রহণ করা ৯১৫.৭৪ একর ভূমির উন্নয়ন কাজ পায় শেষ। পাইলিংসহ মালপত্র হ্যান্ডলিং জেটি, একসেস রোডসহ প্রকল্পের অফিস ও আবাসন সুবিধাদির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

বাস্তুচ্যুত পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য ৩০ একর ভূমিতে দৃষ্টিনন্দন আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী মার্চেই ক্ষতিগ্রস্ত ২৮১টি আধুনিক পাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। পুনর্বাসিত এসব মানুষের সব সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৫ একর জমিতে বাড়ি ছাড়াও মসজিদ, স্কুল, ক্লিনিক, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, সাইক্লোন শেল্টার, খেলার মাঠ, কবরস্থান, বাউন্ডারি দেয়াল, ভূমি সুরক্ষা, পুকুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুকন্দ্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৯ মে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ এবং চীন যৌথভাবে বিনিয়োগ করছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুকন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট এবং একই বছরের আগস্টে দ্বিতীয় ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রকল্পের কর্মকা- কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোরেশোরে কাজ চলছে।

আরপিসিএল সূত্র জানায়, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৮ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪২ শতাংশ কয়লা আমদানি করা হবে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কয়লা পোড়ানোর ক্ষতিকর পদার্থের নিঃস্বরণ তুলনামূলক কম হবে। এতে ২২০ মিটার উঁচু চিমনি থাকবে। এ ছাড়া থাকবে অ্যাশপন্ড, যেখানে ৯৯ শতাংশ ফ্লাই অ্যাশ বয়লার টিউবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় ফ্লাই অ্যাশ বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। আরপিসিএলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, রুরাল পাওয়ার কোম্পানিকে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়াও মোট ২৭৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব (আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল) এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, প্রকল্পের শুরুর দিকে ভূমি অধিগ্রহণে কিছুটা বেশি সময় লেগেছে।

প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, জমি অধিগ্রহণে বাস্তুচ্যুত, ক্ষতিগ্রস্ত ২৮১টি পরিবারকে ২৮১টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ১২শ’ বর্গফুট পাকাবাড়ি নির্মাণে ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। একটি বাড়িতে তিনটি বেডরুম, একটি ড্রয়িং কাম ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম এবং একটি রান্নাঘর রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. তৌফিক ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং ৩১ আগস্ট দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। তিনি জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৬.৭৩ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭.৬৮ শতাংশ।

আরএনপিএলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. মিং বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের অভিজ্ঞতা প্রায় সত্তর বছর। পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তির সব শর্ত পূরণ করা হবে। বিদ্যুতের গণগত মানও ঠিক থাকবে।’

এদিকে গত বুধবার আরএনপিএল প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরপিসিএলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রকল্পের শুরুর দিকে ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কথা তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএনপিএলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. তৌফিক ইসলাম, আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কিউআই ইউ প্রমুখ।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক এলাকায় নির্মিত হয়েছে স্কুল। বহুমুখী ব্যবহারের জন্য আটত্রিশ হাজার সাতশ’ ৩৬ বর্গমিটার একটি কমিউনিটি হল কাম আশ্রয়কেন্দ্র। রয়েছে খেলার মাঠ, মিনি পার্ক, মার্কেট। থাকছে চার হাজার নয়শ’ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে পুকুর। এছাড়া বিদ্যুৎ প্লান্ট এরিয়ার অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ থেকে তিন পয়সা করে উন্নয়ন তহবিলে জমা হবে। যা ব্যয় হবে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে। এছাড়া এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণকৃতরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পায়রা হাবে আরএনপিএলের অগ্রগতি পৌনে ২৭ শতাংশ

ফয়েজ আহমেদ তুষার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে ফিরে

আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের (আরএনপিএল) উদ্যোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীণ আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পায়রা “পাওয়ার হাব” এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, আরএনপিএলের জন্য অধিগ্রহণ করা ৯১৫.৭৪ একর ভূমির উন্নয়ন কাজ পায় শেষ। পাইলিংসহ মালপত্র হ্যান্ডলিং জেটি, একসেস রোডসহ প্রকল্পের অফিস ও আবাসন সুবিধাদির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

বাস্তুচ্যুত পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য ৩০ একর ভূমিতে দৃষ্টিনন্দন আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী মার্চেই ক্ষতিগ্রস্ত ২৮১টি আধুনিক পাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। পুনর্বাসিত এসব মানুষের সব সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৫ একর জমিতে বাড়ি ছাড়াও মসজিদ, স্কুল, ক্লিনিক, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, সাইক্লোন শেল্টার, খেলার মাঠ, কবরস্থান, বাউন্ডারি দেয়াল, ভূমি সুরক্ষা, পুকুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুকন্দ্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৯ মে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ এবং চীন যৌথভাবে বিনিয়োগ করছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুকন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট এবং একই বছরের আগস্টে দ্বিতীয় ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রকল্পের কর্মকা- কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোরেশোরে কাজ চলছে।

আরপিসিএল সূত্র জানায়, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৮ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪২ শতাংশ কয়লা আমদানি করা হবে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কয়লা পোড়ানোর ক্ষতিকর পদার্থের নিঃস্বরণ তুলনামূলক কম হবে। এতে ২২০ মিটার উঁচু চিমনি থাকবে। এ ছাড়া থাকবে অ্যাশপন্ড, যেখানে ৯৯ শতাংশ ফ্লাই অ্যাশ বয়লার টিউবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় ফ্লাই অ্যাশ বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। আরপিসিএলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, রুরাল পাওয়ার কোম্পানিকে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়াও মোট ২৭৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব (আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল) এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, প্রকল্পের শুরুর দিকে ভূমি অধিগ্রহণে কিছুটা বেশি সময় লেগেছে।

প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, জমি অধিগ্রহণে বাস্তুচ্যুত, ক্ষতিগ্রস্ত ২৮১টি পরিবারকে ২৮১টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ১২শ’ বর্গফুট পাকাবাড়ি নির্মাণে ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। একটি বাড়িতে তিনটি বেডরুম, একটি ড্রয়িং কাম ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম এবং একটি রান্নাঘর রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. তৌফিক ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং ৩১ আগস্ট দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। তিনি জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৬.৭৩ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭.৬৮ শতাংশ।

আরএনপিএলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. মিং বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের অভিজ্ঞতা প্রায় সত্তর বছর। পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তির সব শর্ত পূরণ করা হবে। বিদ্যুতের গণগত মানও ঠিক থাকবে।’

এদিকে গত বুধবার আরএনপিএল প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরপিসিএলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রকল্পের শুরুর দিকে ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কথা তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএনপিএলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. তৌফিক ইসলাম, আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কিউআই ইউ প্রমুখ।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক এলাকায় নির্মিত হয়েছে স্কুল। বহুমুখী ব্যবহারের জন্য আটত্রিশ হাজার সাতশ’ ৩৬ বর্গমিটার একটি কমিউনিটি হল কাম আশ্রয়কেন্দ্র। রয়েছে খেলার মাঠ, মিনি পার্ক, মার্কেট। থাকছে চার হাজার নয়শ’ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে পুকুর। এছাড়া বিদ্যুৎ প্লান্ট এরিয়ার অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ থেকে তিন পয়সা করে উন্নয়ন তহবিলে জমা হবে। যা ব্যয় হবে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে। এছাড়া এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণকৃতরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।