৪ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ৪ পুলিশসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে মো. আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আসামিরা হলো- যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আক্তার, এসআই আব্বাস উদ্দিন, এএসআই ওলিউল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল এবং আয়েশা আক্তার বেলি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে বাদী আলম হাওলাদারের ভাড়া বাড়ির গেটে জোরে ধাক্কা ও লাথি মারলে স্ত্রী রেশমা বেগম ঘরের ভেতর থেকে আসামিদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তারা আইনের লোক বলে জানান। এ কথা শুনে রেশমা ঘরের দরজা খুলে দেয়ার পর আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়ে আলম হাওলাদারকে খুঁজতে থাকে। তারা আলম হাওলাদারকে না পেয়ে ঘরের মালামাল তছনছ করে ও এসআই আক্তার ওয়ারড্রব খুলে জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা পকেটে ভরে নেয়। আর আলম হাওলাদার ও তার স্ত্রী রেশমাকে গালাগালি করতে থাকে। রেশমা প্রতিবাদ করলে এসআই আক্তার তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এএসআই ওলিউল ইসলাম হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং এসআই আব্বাস অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এরপর রেশমার ফোন দিয়ে এসআই আক্তার স্বামী আলম হাওলাদারকে ফোন দেয়। আলম হাওলাদার তখন কাদের পরিচয় এবং কোন থানা থেকে এসেছেন জানতে চাইলে, এসআই আক্তার বলে তোকে পাইলে দেখাতাম আমরা কোন থানা থেকে এসেছি।

তখন আক্তার বলে, ঢাকায় ফিরে এসে ৫ লাখ টাকা দিবি, আর যদি না দিস তাহলে তোকে ক্রস ফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেব। পরে মামলার বাদী আলম হাওলাদার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন নিশ্চিত হয় আসামিরা যাত্রাবাড়ী থানার লোক এবং অন্য এক আসামি আয়েশা আক্তার বেলি তার ভাবি। আসামিরা এখনও বিভিন্ন মোবাইলের মাধ্যমে ফোন দিয়ে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছে। আর টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

যাত্রাবাড়ী থানা

৪ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

আদালত বার্তা পরিবেশক

হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ৪ পুলিশসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে মো. আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আসামিরা হলো- যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আক্তার, এসআই আব্বাস উদ্দিন, এএসআই ওলিউল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল এবং আয়েশা আক্তার বেলি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে বাদী আলম হাওলাদারের ভাড়া বাড়ির গেটে জোরে ধাক্কা ও লাথি মারলে স্ত্রী রেশমা বেগম ঘরের ভেতর থেকে আসামিদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তারা আইনের লোক বলে জানান। এ কথা শুনে রেশমা ঘরের দরজা খুলে দেয়ার পর আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়ে আলম হাওলাদারকে খুঁজতে থাকে। তারা আলম হাওলাদারকে না পেয়ে ঘরের মালামাল তছনছ করে ও এসআই আক্তার ওয়ারড্রব খুলে জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা পকেটে ভরে নেয়। আর আলম হাওলাদার ও তার স্ত্রী রেশমাকে গালাগালি করতে থাকে। রেশমা প্রতিবাদ করলে এসআই আক্তার তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এএসআই ওলিউল ইসলাম হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং এসআই আব্বাস অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এরপর রেশমার ফোন দিয়ে এসআই আক্তার স্বামী আলম হাওলাদারকে ফোন দেয়। আলম হাওলাদার তখন কাদের পরিচয় এবং কোন থানা থেকে এসেছেন জানতে চাইলে, এসআই আক্তার বলে তোকে পাইলে দেখাতাম আমরা কোন থানা থেকে এসেছি।

তখন আক্তার বলে, ঢাকায় ফিরে এসে ৫ লাখ টাকা দিবি, আর যদি না দিস তাহলে তোকে ক্রস ফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেব। পরে মামলার বাদী আলম হাওলাদার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন নিশ্চিত হয় আসামিরা যাত্রাবাড়ী থানার লোক এবং অন্য এক আসামি আয়েশা আক্তার বেলি তার ভাবি। আসামিরা এখনও বিভিন্ন মোবাইলের মাধ্যমে ফোন দিয়ে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছে। আর টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।