কমছে না চালের মূল্য

বেড়েছে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম

দফায় দফায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও কিছুতেই কমছে না চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ফের প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এছাড়া বেড়েছে চিনি ও ভোজ্যতেলের দামও। তবে কিছুটা দাম কমেছে সবজি, নতুন আলু ও পিয়াজের। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঘাটতি মেটাতে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অপরদিকে কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পিয়াজের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তবে এক দিনের ব্যবধানে গতকালের বাজারে তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বরং এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা।

সবজির বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

দাম কমেছে নতুন আলু ও পিয়াজের। কেজিতে ২০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, নতুন পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

এছাড়া বাজারে বর্ধিত দামে অপরিবর্তিত রয়েছে সয়াবিন তেল। গত এক মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৬ টাকা বেড়েছে। প্রতি লিটার তেল কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা। অন্যদিকে খুচরা ভোজ্যতেলের দাম পাইকারিতে আল্প কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিম, গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এককেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইর মাছ ৫০০, রিঠা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কমছে না চালের মূল্য

বেড়েছে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দফায় দফায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও কিছুতেই কমছে না চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ফের প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এছাড়া বেড়েছে চিনি ও ভোজ্যতেলের দামও। তবে কিছুটা দাম কমেছে সবজি, নতুন আলু ও পিয়াজের। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঘাটতি মেটাতে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অপরদিকে কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পিয়াজের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তবে এক দিনের ব্যবধানে গতকালের বাজারে তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বরং এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা।

সবজির বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

দাম কমেছে নতুন আলু ও পিয়াজের। কেজিতে ২০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, নতুন পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

এছাড়া বাজারে বর্ধিত দামে অপরিবর্তিত রয়েছে সয়াবিন তেল। গত এক মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৬ টাকা বেড়েছে। প্রতি লিটার তেল কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা। অন্যদিকে খুচরা ভোজ্যতেলের দাম পাইকারিতে আল্প কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিম, গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এককেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইর মাছ ৫০০, রিঠা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।