প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮২ কোটি টাকা।

দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে গুটিকয় ভবন তৈরি করা গেলেও সেগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করা যায়নি। প্রকল্প শেষ করতে আরও চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগেও প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। নির্ধারিত সময়ে দেশে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এমনকি ছোট প্রকল্পের কাজ ঠিক সময়ে শেষ হয় না। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণ কী-সেটা একটা প্রশ্ন। সক্ষমতা ও দক্ষতায় ঘাটতি আছে, নাকি ব্যয় বাড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বারবার সময় বাড়ানো হয় সেটা সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি।

মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সরকার করের টাকায়, ঋণের টাকায় একেকটি প্রকল্প নেয়। ঠিক সময়ে সেটা বাস্তবায়ন করা না হলে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়। ব্যয় বাড়লে তার বোঝাও নাগরিকদেরই টানতে হয়। কিন্তু এর জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কারও কখনও জবাবদিহি আদায় করা হয় বলে জানা যায় না।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি কেন হয়, সেই কারণ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিও আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আমরা চাই, ছোট-বড় সব প্রকল্প সময়মতো শেষ হোক। প্রকল্প নেয়ার সময় বুঝেশুনেই মেয়াদ ও ব্যয় ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ীই কাজ করতে হবে।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮২ কোটি টাকা।

দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে গুটিকয় ভবন তৈরি করা গেলেও সেগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করা যায়নি। প্রকল্প শেষ করতে আরও চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগেও প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। নির্ধারিত সময়ে দেশে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এমনকি ছোট প্রকল্পের কাজ ঠিক সময়ে শেষ হয় না। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণ কী-সেটা একটা প্রশ্ন। সক্ষমতা ও দক্ষতায় ঘাটতি আছে, নাকি ব্যয় বাড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বারবার সময় বাড়ানো হয় সেটা সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি।

মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সরকার করের টাকায়, ঋণের টাকায় একেকটি প্রকল্প নেয়। ঠিক সময়ে সেটা বাস্তবায়ন করা না হলে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়। ব্যয় বাড়লে তার বোঝাও নাগরিকদেরই টানতে হয়। কিন্তু এর জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কারও কখনও জবাবদিহি আদায় করা হয় বলে জানা যায় না।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি কেন হয়, সেই কারণ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিও আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আমরা চাই, ছোট-বড় সব প্রকল্প সময়মতো শেষ হোক। প্রকল্প নেয়ার সময় বুঝেশুনেই মেয়াদ ও ব্যয় ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ীই কাজ করতে হবে।