শিশুর জন্য চাই সুস্থ বিনোদন

শিশুর সঠিক বিনোদনই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। আর এ বিনোদন ঘরে-বাইরে সবখানেই প্রয়োজন। এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে প্লে-জোন রয়েছে। সেখানে শিশুদের জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল গেম। গাড়ি চালানো, বিমানে চড়া, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা অথবা সাফারি পার্কে প্রাণীদের জগতে ঘুরে বেড়ানো-সবই আছে। তবে সব কিছুই ভার্চুয়াল। কিছুদিন আগে একজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্লে-জোনে এমন কিছু খেলা আছে যেগুলো অনেকটা জুয়ার মতো। এক ধাপের পর আরেক ধাপে যেতে পারলে ডিসকাউন্ট। অপরদিকে গেম স্টোর বা প্লে-জোনের সার্ভিসম্যানদের অধিকাংশেরই নেই প্রশিক্ষণ। তারা জানে না কোন বয়সের শিশুদের জন্য কোন ধরনের খেলা উপযোগ। কোন শিশুর জন্য কোন ধরনের গেম উপযোগী সে বিষয়ে অভিভাবকরাও সচেতন নন। ওই সব গেইম আদৌ শিশুদের খেলার উপযোগী কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেন না।

শিশুরা যে ঘরে বসে হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল দেখছে, সেটাও ভালো লক্ষণ নয়। সিরিয়াল কিংবা হিন্দি সিনেমায় শিশুদের জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ দৃশ্য ও সংলাপ থাকে। তবে শুধু এমন বিনোদন থেকে শিশুদের দূরে রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তার জন্য চাই সুস্থ শিক্ষামূলক বিনোদন। সেই বিনোদন মোবাইল ফোনে ইউটিউবের কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন ছবি না।

শিশু কী দেখবে আর কী দেখবে না, তা সুচিন্তিতভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নির্মল বিনোদন ও শিক্ষণীয় উপকরণ বাড়াতে হবে। পরিবারের সবাই মিলে শিশুকে সময় দিতে হবে, গল্প করতে হবে তার সাথে। এমন সব খেলা তালিকায় রাখতে হবে, যা বুদ্ধি, কল্পনাশক্তি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, কায়িক শ্রম, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে উৎসাহিত করে। বাচ্চাদের দলবদ্ধ খেলা খেলতে অভ্যাস করাতে হবে। এতে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়বে। যেহেতু বই পড়ার চেয়ে ভালো অভ্যাস আর কিছু হতে পারে না, তাই শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই শিশুদের জন্য সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আসাদুল্লাহ আল-গালিব

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শিশুর জন্য চাই সুস্থ বিনোদন

শিশুর সঠিক বিনোদনই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। আর এ বিনোদন ঘরে-বাইরে সবখানেই প্রয়োজন। এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে প্লে-জোন রয়েছে। সেখানে শিশুদের জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল গেম। গাড়ি চালানো, বিমানে চড়া, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা অথবা সাফারি পার্কে প্রাণীদের জগতে ঘুরে বেড়ানো-সবই আছে। তবে সব কিছুই ভার্চুয়াল। কিছুদিন আগে একজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্লে-জোনে এমন কিছু খেলা আছে যেগুলো অনেকটা জুয়ার মতো। এক ধাপের পর আরেক ধাপে যেতে পারলে ডিসকাউন্ট। অপরদিকে গেম স্টোর বা প্লে-জোনের সার্ভিসম্যানদের অধিকাংশেরই নেই প্রশিক্ষণ। তারা জানে না কোন বয়সের শিশুদের জন্য কোন ধরনের খেলা উপযোগ। কোন শিশুর জন্য কোন ধরনের গেম উপযোগী সে বিষয়ে অভিভাবকরাও সচেতন নন। ওই সব গেইম আদৌ শিশুদের খেলার উপযোগী কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেন না।

শিশুরা যে ঘরে বসে হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল দেখছে, সেটাও ভালো লক্ষণ নয়। সিরিয়াল কিংবা হিন্দি সিনেমায় শিশুদের জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ দৃশ্য ও সংলাপ থাকে। তবে শুধু এমন বিনোদন থেকে শিশুদের দূরে রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তার জন্য চাই সুস্থ শিক্ষামূলক বিনোদন। সেই বিনোদন মোবাইল ফোনে ইউটিউবের কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন ছবি না।

শিশু কী দেখবে আর কী দেখবে না, তা সুচিন্তিতভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নির্মল বিনোদন ও শিক্ষণীয় উপকরণ বাড়াতে হবে। পরিবারের সবাই মিলে শিশুকে সময় দিতে হবে, গল্প করতে হবে তার সাথে। এমন সব খেলা তালিকায় রাখতে হবে, যা বুদ্ধি, কল্পনাশক্তি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, কায়িক শ্রম, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে উৎসাহিত করে। বাচ্চাদের দলবদ্ধ খেলা খেলতে অভ্যাস করাতে হবে। এতে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়বে। যেহেতু বই পড়ার চেয়ে ভালো অভ্যাস আর কিছু হতে পারে না, তাই শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই শিশুদের জন্য সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আসাদুল্লাহ আল-গালিব

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়