সীমানা জটিলতায় ৯ বছর অভিভাবক শূন্য গোসাইরহাট

শরীয়তপুরে ৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের সাজ সাজ রব থাকলেও ব্যতিক্রম গোসাইরহাট পৌরসভার চিত্র। সীমানা জটিলতায় দীর্ঘ ৯ বছরেও নির্বাচন হয়নি পৌরসভাটির। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়াই চলছে নবগঠিত গোসাইরহাট পৌরসভা। স্থানীয়দের অভিযোগ একটি সুবিধাভোগী মহলের কারণেই গণতান্ত্রিক এ অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। যদিও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন জটিলতা কেটে গেলেই হবে নির্বাচন।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, ২৫টি মৌজা নিয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন গঠিত। যার মধ্যে ৯টি মৌজার ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গোসাইরহাট পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ইদিলপুর ইউনিয়নে ৩১ হাজার ২৯ জন ভোটার রয়েছে। ওই ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০৩ সালে। ইউনিয়নকে ভেঙ্গে ১১ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত। ইদিলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরধীপুর এলাকার সীমানা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে হয় মামলা। এ অযুহাতে ইলিপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচন নেই দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় বাধাগ্রস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম। নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় সরকারের এ দুটি প্রতিষ্ঠানের নাগরিকরা। ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। গোসাইরহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচন ছাড়াই চলছে ইদিলপুর পরিষদ। সীমানা সংক্রান্ত জটিলাতায় নির্বাচন হচ্ছে না ইদিলপুর ইউনিয়ন ও গোসাইরহাট পৌরসভার।

গোসাইরহাট সচেতন নাগরিক আবদুল আউয়াল সরদার বলেন, স্থানীয় সরকারের উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করতেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই পৌরসভা যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত না হয় তাহলে উন্নয়ন তো দূরের কথা ভোগান্তির শেষ থাকে না। আমরাও পড়েছি সেই ভোগান্তিতে। ইউনিয়ন পরিষদ যেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করে না তেমনি পৌরসভাও করে না। দিন দিন উন্নয়ন কর্মকা- থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এজন্য দরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধ। গোসাইরহাট পৌরসভা শুধু নামেই পৌরসভা।

নুরুজ্জামান মৃধা, শরীয়তপুরের সব পৌরসভা ঠিক সময়েই নির্বাচন হচ্ছে। শুধু গোসাইরহাট পৌরসভা আর ইউনিয়নের নির্বাচন নাই। মামলা দিয়ে একটি সুবিধাভোগী মহল পৌরসভা ও ইদিলপুর ইউনিয়নের নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। তারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা নির্বাচন চাই। চাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এই গোলক ধাধা থেকে আমাদের মুক্তি না মিললে ইউনিয়ন বা পৌরসভার নাগরিকরা সুবিধাবঞ্চিতই থেকে যাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোসাইরহাট পৌরসভার প্রশাসক আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানগুলোই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চললে সবার জন্যই মঙ্গল। গোসাইরহাট পৌরসভার সব ধরনের তথ্য নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ. এম. গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলার জটিলতা কেটে গেলেই নির্বাচনের প্রাথমিক কাজ শুরু করা যাবে।

আরও খবর
জমির উর্বর মাটি দেদার বিক্রি ভাটায়! ফসলাবাদ হুমকিতে
মহেশপুরে ভূমিহীন ৬৪ পরিবার পেল খাস জমি
রাজিবপুরে ইয়াবা গ্রেফতার দুই
আমতলীতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি, হাসপাতালে ওষুধ সংকট
ভিজিএফ কার্ডের আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণ : ধৃত ২
কলমাকান্দায় আগুনে ভস্মীভূত বসতঘর
কিশোরগঞ্জে আয়শা খানম স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
জগন্নাথপুরে ভোটের মাঠ সরগরম
দশমিনায় ট্রাক্টরসহ লোহার সেতু খালে : আহত দুই
নওগাঁয় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহহীনদের ১০৫৬ বাড়ি নির্মাণ
চাটখিলে প্রবাসীকে জিম্মি করে চাঁদা গ্রেফতার ৩
গোমস্তাপুরে ৮ কিমি. বাঁধ সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
চাঁদপুরে অবৈধভাবে চলছে নবরূপ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

জেলার পাঁচ পৌরসভায় ভোটের সাজ সাজ রব

সীমানা জটিলতায় ৯ বছর অভিভাবক শূন্য গোসাইরহাট

জেলা বার্তা পরিবেশক, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে ৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের সাজ সাজ রব থাকলেও ব্যতিক্রম গোসাইরহাট পৌরসভার চিত্র। সীমানা জটিলতায় দীর্ঘ ৯ বছরেও নির্বাচন হয়নি পৌরসভাটির। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়াই চলছে নবগঠিত গোসাইরহাট পৌরসভা। স্থানীয়দের অভিযোগ একটি সুবিধাভোগী মহলের কারণেই গণতান্ত্রিক এ অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। যদিও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন জটিলতা কেটে গেলেই হবে নির্বাচন।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, ২৫টি মৌজা নিয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন গঠিত। যার মধ্যে ৯টি মৌজার ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গোসাইরহাট পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ইদিলপুর ইউনিয়নে ৩১ হাজার ২৯ জন ভোটার রয়েছে। ওই ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০৩ সালে। ইউনিয়নকে ভেঙ্গে ১১ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত। ইদিলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরধীপুর এলাকার সীমানা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে হয় মামলা। এ অযুহাতে ইলিপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচন নেই দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় বাধাগ্রস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম। নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় সরকারের এ দুটি প্রতিষ্ঠানের নাগরিকরা। ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। গোসাইরহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচন ছাড়াই চলছে ইদিলপুর পরিষদ। সীমানা সংক্রান্ত জটিলাতায় নির্বাচন হচ্ছে না ইদিলপুর ইউনিয়ন ও গোসাইরহাট পৌরসভার।

গোসাইরহাট সচেতন নাগরিক আবদুল আউয়াল সরদার বলেন, স্থানীয় সরকারের উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করতেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই পৌরসভা যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত না হয় তাহলে উন্নয়ন তো দূরের কথা ভোগান্তির শেষ থাকে না। আমরাও পড়েছি সেই ভোগান্তিতে। ইউনিয়ন পরিষদ যেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করে না তেমনি পৌরসভাও করে না। দিন দিন উন্নয়ন কর্মকা- থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এজন্য দরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধ। গোসাইরহাট পৌরসভা শুধু নামেই পৌরসভা।

নুরুজ্জামান মৃধা, শরীয়তপুরের সব পৌরসভা ঠিক সময়েই নির্বাচন হচ্ছে। শুধু গোসাইরহাট পৌরসভা আর ইউনিয়নের নির্বাচন নাই। মামলা দিয়ে একটি সুবিধাভোগী মহল পৌরসভা ও ইদিলপুর ইউনিয়নের নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। তারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা নির্বাচন চাই। চাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এই গোলক ধাধা থেকে আমাদের মুক্তি না মিললে ইউনিয়ন বা পৌরসভার নাগরিকরা সুবিধাবঞ্চিতই থেকে যাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোসাইরহাট পৌরসভার প্রশাসক আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানগুলোই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চললে সবার জন্যই মঙ্গল। গোসাইরহাট পৌরসভার সব ধরনের তথ্য নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ. এম. গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলার জটিলতা কেটে গেলেই নির্বাচনের প্রাথমিক কাজ শুরু করা যাবে।