মুনীরুজ্জামান ছিলেন আদর্শবান সাংবাদিক

সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত খন্দকার মুনীরুজ্জামান স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন আদর্শবান ও মুক্তচিন্তার সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতাকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ করতে তার প্রচেষ্টা ছিল। তার কর্মচেতনা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে। দেশপ্রেমকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তিনি স্থান দিতেন। বক্তারা আরও বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশ ও রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। গণমাধ্যমকে গণমানুষের দর্পণে পরিণত করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মৃত্যুতে জাতি একজন প্রথিতযশা সাংবাদিককে হারাল। গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা, উন্নয়ন এবং স্বার্থ সংরক্ষণে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক খন্দকার মুনীরুজ্জামান গত ২৪ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গতকাল অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযুক্ত জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মুনীরুজ্জামান একজন আদর্শবান এবং স্পষ্টবাদী মানুষ ছিলেন। তিনি নিজ চেতনা থেকেই সব আন্দোলনে অংশ নিতেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামানের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেবে সম্পাদক পরিষদ। তিনি বলেন, মুনীরুজ্জামান কখনওই নিজেকে নিয়ে ভাবতেন না। তার চিন্তায় ছিল শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন।

সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির বলেন, সমাজ থেকে শোষণ-বৈষম্য দূর করতে খন্দকার মুনীরুজ্জামান সক্রিয় অবদান রেখেছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন সাংবাদিক ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, মুনীরুজ্জামান অত্যন্ত দায়িত্বশীল সাংবাদিক এবং সম্পাদক ছিলেন।

খন্দকার মুনীরুজ্জামানের সহধর্মিণী ডা. রোকেয়া খাতুন বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন বহুমুখী প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন। তিনি যখন যা করতেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে করতেন। তিনি সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবকিছুর ঊর্ধেŸ স্থান দিতেন। তিনি মুনীরুজ্জামান সম্পর্কে লেখার আহ্বান জানান সবাইকে।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ইতিবাচক চিন্তা-চেতনার মানুষ হিসেবে সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তার মৃত্যুতে সংবাদপত্র জগৎ একজন গুণী মানুষ হারাল।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সম্পাদক পরিষদের স্মরণসভা

মুনীরুজ্জামান ছিলেন আদর্শবান সাংবাদিক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত খন্দকার মুনীরুজ্জামান স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন আদর্শবান ও মুক্তচিন্তার সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতাকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ করতে তার প্রচেষ্টা ছিল। তার কর্মচেতনা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে। দেশপ্রেমকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তিনি স্থান দিতেন। বক্তারা আরও বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশ ও রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। গণমাধ্যমকে গণমানুষের দর্পণে পরিণত করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মৃত্যুতে জাতি একজন প্রথিতযশা সাংবাদিককে হারাল। গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা, উন্নয়ন এবং স্বার্থ সংরক্ষণে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক খন্দকার মুনীরুজ্জামান গত ২৪ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গতকাল অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযুক্ত জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মুনীরুজ্জামান একজন আদর্শবান এবং স্পষ্টবাদী মানুষ ছিলেন। তিনি নিজ চেতনা থেকেই সব আন্দোলনে অংশ নিতেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামানের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেবে সম্পাদক পরিষদ। তিনি বলেন, মুনীরুজ্জামান কখনওই নিজেকে নিয়ে ভাবতেন না। তার চিন্তায় ছিল শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন।

সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির বলেন, সমাজ থেকে শোষণ-বৈষম্য দূর করতে খন্দকার মুনীরুজ্জামান সক্রিয় অবদান রেখেছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন সাংবাদিক ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, মুনীরুজ্জামান অত্যন্ত দায়িত্বশীল সাংবাদিক এবং সম্পাদক ছিলেন।

খন্দকার মুনীরুজ্জামানের সহধর্মিণী ডা. রোকেয়া খাতুন বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন বহুমুখী প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন। তিনি যখন যা করতেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে করতেন। তিনি সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবকিছুর ঊর্ধেŸ স্থান দিতেন। তিনি মুনীরুজ্জামান সম্পর্কে লেখার আহ্বান জানান সবাইকে।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ইতিবাচক চিন্তা-চেতনার মানুষ হিসেবে সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তার মৃত্যুতে সংবাদপত্র জগৎ একজন গুণী মানুষ হারাল।