বিদেশ পালানোর চেষ্টা সাউথ-বাংলা ব্যাংক চেয়ারম্যান আমজাদের

চার প্রতিষ্ঠানের এক কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক থেকে ঋণের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন দেশেই পলাতক রয়েছেন। যদিও কাগজে কলমে তিনি বিদেশে পলাতক। দুদক সূত্র জানায়, তিনি দেশেই আত্মগোপনে আছেন বলে তথ্য আছে। এ ব্যাংক খেকো নিজ ও পরিবারের নামে থাকা এসবিএসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। শেয়ার বিক্রির টাকা বিদেশে পাচারসহ সপরিবারে ফের পালানোর পরিকল্পনা করছে। এ তথ্য পাওয়ার পর দুদক আমজাদ হোসেনের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমজাদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১শ’ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এসবিএসি ব্যাংক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন খুলনা অঞ্চলের লকপুর গ্রুপের কর্ণধার।

দুদক সূত্র জানায়, আমজাদ হোসেন, স্ত্রী বেগম সুফিয়া আমজাদ ও মেয়ে তাজরির নামে থাকা শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ করে দুদক গত ৫ জানুয়ারি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি, অন্যান্য ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছিলেন। এরপর কমিশন একবার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে তিনি বিদেশ গমন করেন। গোপন সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে- আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী, মেয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে তাদের নামে থাকা এসবিএসি ব্যাংকের শেয়ারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমজাদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১শ’ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করে বিএসইসি।

সূত্র আরও জানায়, আমজাদ হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তিনি দেশেই অবস্থান করছেন। দেশে ফেরার পর তাকে দুদকে রিপোর্ট করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দুদকের নির্দেশনাকে পাত্তাই দেয়নি আমজাদ।

দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিসহ অন্যান্য ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় গত বছর। অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে এসবিএসি ব্যাংক থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা নামে বেনামে ঋণ দেয়ার প্রমাণ মিলে।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শেয়ার বিক্রি করে

বিদেশ পালানোর চেষ্টা সাউথ-বাংলা ব্যাংক চেয়ারম্যান আমজাদের

চার প্রতিষ্ঠানের এক কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

সাইফ বাবলু

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক থেকে ঋণের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন দেশেই পলাতক রয়েছেন। যদিও কাগজে কলমে তিনি বিদেশে পলাতক। দুদক সূত্র জানায়, তিনি দেশেই আত্মগোপনে আছেন বলে তথ্য আছে। এ ব্যাংক খেকো নিজ ও পরিবারের নামে থাকা এসবিএসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। শেয়ার বিক্রির টাকা বিদেশে পাচারসহ সপরিবারে ফের পালানোর পরিকল্পনা করছে। এ তথ্য পাওয়ার পর দুদক আমজাদ হোসেনের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমজাদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১শ’ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এসবিএসি ব্যাংক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন খুলনা অঞ্চলের লকপুর গ্রুপের কর্ণধার।

দুদক সূত্র জানায়, আমজাদ হোসেন, স্ত্রী বেগম সুফিয়া আমজাদ ও মেয়ে তাজরির নামে থাকা শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ করে দুদক গত ৫ জানুয়ারি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি, অন্যান্য ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছিলেন। এরপর কমিশন একবার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে তিনি বিদেশ গমন করেন। গোপন সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে- আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী, মেয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে তাদের নামে থাকা এসবিএসি ব্যাংকের শেয়ারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমজাদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১শ’ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করে বিএসইসি।

সূত্র আরও জানায়, আমজাদ হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তিনি দেশেই অবস্থান করছেন। দেশে ফেরার পর তাকে দুদকে রিপোর্ট করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দুদকের নির্দেশনাকে পাত্তাই দেয়নি আমজাদ।

দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিসহ অন্যান্য ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় গত বছর। অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে এসবিএসি ব্যাংক থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা নামে বেনামে ঋণ দেয়ার প্রমাণ মিলে।