খুলনায় অসময়ে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলাগুলোতে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি, খাবারে অরুচি, দুধ ও মাংস উৎপাদন কম হচ্ছে। দুধ ও মাংসের উৎপাদন কমায় খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলার তেরখাদা উপজেলার পশ্চিমপাড়া এলাকায় খামারি গোলাম মোস্তফা ও আতিয়ার রহমান জানান, করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে খামারিরা কাক্সিক্ষত দামে দুধ বিক্রি করতে পারেননি। এরমধ্যে অসময়ে গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খামারে দুধ ও মাংস উৎপাদন কমেছে।
একই কথা জানালেন ডুমুরিয়ার খর্নিয়া এলাকার খামারি আব্দুল মজিদ ও আশরাফুল ইসলাম। তারা বলেন, এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস এম আওয়াল জানান, জেলায় পোল্ট্রি, ডেইরি ও মোটাতাজাকরণ গরুর খামারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে দশ হাজার। বছরে আড়াই লাখ টন গরুর দুধ ও এক লাখ ৫৪ হাজার টন মাংস উৎপাদন হয়।
এমনিতেই খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিতে রয়েছেন। করোনাকালীন লকডাউনের সময় দিঘলিয়া, তেরখাদা, রূপসা, ডুমুরিয়া ও ফুলতলার খামারিরা কাক্সিক্ষত দামে দুধ বিক্রি করতে পারেননি।
তারমধ্যে গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিটি খামারে দুধ ও মাংস বিক্রি কমেছে। আওয়াল বলেন, সাধারণত বর্ষার আগে ও শেষে গরুর শরীরে ক্ষুরা রোগ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর অসময়ে এ রোগ দেখা যাচ্ছে। ফলে উপজেলাগুলোতে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি, খাবারে অরুচি, দুধ ও মাংস উৎপাদন কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, বহিরাগত গরু এনে খামারে রাখা ও ভ্যাকসিন সময়মতো না দেয়ার কারণে এ রোগ হতে পারে।
গাভী এ রোগে আক্রান্ত হলে দুধ বাজারে বিক্রি বা দুগ্ধপোষ্য বাছুরকে খাওয়ানো যাবে না। এ রোগের জীবাণু বাছুরের পেটে প্রবেশ করলে বাছুর মারাও যেতে পারে। এ রোগ নিরাময় ও গরুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিষেধক সরবারহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
খুলনা ব্যুরো
খুলনায় অসময়ে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলাগুলোতে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি, খাবারে অরুচি, দুধ ও মাংস উৎপাদন কম হচ্ছে। দুধ ও মাংসের উৎপাদন কমায় খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলার তেরখাদা উপজেলার পশ্চিমপাড়া এলাকায় খামারি গোলাম মোস্তফা ও আতিয়ার রহমান জানান, করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে খামারিরা কাক্সিক্ষত দামে দুধ বিক্রি করতে পারেননি। এরমধ্যে অসময়ে গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খামারে দুধ ও মাংস উৎপাদন কমেছে।
একই কথা জানালেন ডুমুরিয়ার খর্নিয়া এলাকার খামারি আব্দুল মজিদ ও আশরাফুল ইসলাম। তারা বলেন, এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস এম আওয়াল জানান, জেলায় পোল্ট্রি, ডেইরি ও মোটাতাজাকরণ গরুর খামারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে দশ হাজার। বছরে আড়াই লাখ টন গরুর দুধ ও এক লাখ ৫৪ হাজার টন মাংস উৎপাদন হয়।
এমনিতেই খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিতে রয়েছেন। করোনাকালীন লকডাউনের সময় দিঘলিয়া, তেরখাদা, রূপসা, ডুমুরিয়া ও ফুলতলার খামারিরা কাক্সিক্ষত দামে দুধ বিক্রি করতে পারেননি।
তারমধ্যে গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিটি খামারে দুধ ও মাংস বিক্রি কমেছে। আওয়াল বলেন, সাধারণত বর্ষার আগে ও শেষে গরুর শরীরে ক্ষুরা রোগ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর অসময়ে এ রোগ দেখা যাচ্ছে। ফলে উপজেলাগুলোতে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি, খাবারে অরুচি, দুধ ও মাংস উৎপাদন কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, বহিরাগত গরু এনে খামারে রাখা ও ভ্যাকসিন সময়মতো না দেয়ার কারণে এ রোগ হতে পারে।
গাভী এ রোগে আক্রান্ত হলে দুধ বাজারে বিক্রি বা দুগ্ধপোষ্য বাছুরকে খাওয়ানো যাবে না। এ রোগের জীবাণু বাছুরের পেটে প্রবেশ করলে বাছুর মারাও যেতে পারে। এ রোগ নিরাময় ও গরুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিষেধক সরবারহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।