রাস্তার ৭০ ভাগ সম্পন্ন ২ ব্যক্তির বাধায় ব্যর্থ গ্রামবাসীর উদ্যোগ

গ্রামের নাম ফুলাহারা বড় সমাসপুর। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অবহেলিত একটি গ্রাম। বছরের পর বছর ধরে এ গ্রামের মানুষ এ ভোগান্তি নিয়েই অবহেলিত জনপদে বসবাস করছেন।

ইতোমধ্যে গ্রামবাসী ফুলাহারা বড় সমাসপুর থেকে ছোট সমাসপুর পর্যন্ত ৬ ফুটের একটি রাস্তা করার উদ্যোগ নিলেও বাধার মুখে তা বন্ধ রয়েছে। জমির আইলের ওপর দিয়ে মাত্র ৬ ফিট প্রশস্ত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছিল গ্রামবাসী। প্রায় ৭০ ভাগ রাস্তার ভরাটের কাজ শেষ করেছে। রাস্তার উভয়পাশের বেশিরভাগ জমির মালিক রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিলেও মাত্র দু’জন মালিকের বাধার কারণে রাস্তাটি স্বপ্নই থেকে যায় গ্রামবাসীদের কাছে। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও আর রাস্তাটির কাজ করতে পারেনি এলাকাবাসী।

স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ফুলাহারা বড় সমাসপুর গ্রামে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। তবে নিয়ামতপুরের বেশিরভাগ এলাকারই চেহারা পাল্টে গেছে। শুধু এ গ্রামটি অবহেলিত। এ গ্রামে সহস্রাধিক লোকের বসবাস। রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী। বর্ষা মৌসুমে গ্রাম থেকে বের হতে হলে জমির আইলের ওপর দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ। কারো মৃত্যু হলে খাটিয়ায় করে লাশ কবরস্থানে নেয়ার উপায় থাকে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এলাকাবাসী আরও জানান, ফুলাহারা সমাসপুরে দু’টি পাড়া রয়েছে। একটি বড় সমাসপুর অন্যটি ছোট সমাসপুর। ছোট সমাসপুর গ্রামের পাস দিয়ে পাকা রাস্তা রয়েছে। কিন্তু বড় সমাসপুরে কোন রাস্তা নেই। বড় সমাসপুর থেকে ছোট সমাসপুরে যাওয়ার জন্য মাত্র ৮শ মিটার রাস্তা জমির আইলের ওপর দিয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মাত্র দু’জনের বাঁধের কারণে রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তাটি নির্মাণ করতে গ্রামবাসী উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় ফুলাহারা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে কামাল এবং ছোট সমাসপুরের মৃত- ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আজাহার আলীর বাধার মুখে রাস্তাটি করা যাচ্ছে না। কারণ ওই দুই ব্যক্তির জমি ওপর দিয়েই রাস্তার নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য লোকের খ- খ- জমি থাকলেও তারা বাধা না দিয়ে রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। এ ব্যাপারে পাড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তোজাম্মেল হক জানান, এ ব্যাপারে যত রকমের সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করবো। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহযোগিতার কথা বলেছেন। পাড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, আমার পাড়ইল ইউনিয়নের এই একটি মাত্র গ্রামই রাস্তা ছাড়া। গ্রামবাসী রাস্তা নির্মাণে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি তা শুধু সমর্থনই করি না রাস্তা নির্মাণে যা যা সহযোগিতা লাগবে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সব রকমের সহযোগিতা করব।

image
আরও খবর
কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কাগজে আছে বাস্তবে নেই
বরিশালে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষিতে বিরূপ প্রভাব
গজারিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ৩
সবজিসহ কাঁচাপণ্য বহনে রেলে চালু হচ্ছে লাগেজ ভ্যানের স্টপিজ
খুলনায় গরুর ক্ষুরা রোগ কমেছে দুধ মাংস
নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংকে প্রেমিকার মরদেহ
সাতক্ষীরায় সড়কে হত ২, আহত ১০
সাতক্ষীরায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ১২ শয্যায় ভর্তি শতাধিক
চারঘাট বাজারের আধিপত্য বিবাদে সংঘর্ষ : নিহত ১
৭ দিনেও আইনি নোটিশের জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহী বিভাগে করোনায় মৃত্যু ২
ঝিনাইদহে ১৪ বছর পর চালু সরকারি শিশু হাসপাতাল

সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রাস্তার ৭০ ভাগ সম্পন্ন ২ ব্যক্তির বাধায় ব্যর্থ গ্রামবাসীর উদ্যোগ

প্রতিনিধি, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)

image

গ্রামের নাম ফুলাহারা বড় সমাসপুর। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অবহেলিত একটি গ্রাম। বছরের পর বছর ধরে এ গ্রামের মানুষ এ ভোগান্তি নিয়েই অবহেলিত জনপদে বসবাস করছেন।

ইতোমধ্যে গ্রামবাসী ফুলাহারা বড় সমাসপুর থেকে ছোট সমাসপুর পর্যন্ত ৬ ফুটের একটি রাস্তা করার উদ্যোগ নিলেও বাধার মুখে তা বন্ধ রয়েছে। জমির আইলের ওপর দিয়ে মাত্র ৬ ফিট প্রশস্ত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছিল গ্রামবাসী। প্রায় ৭০ ভাগ রাস্তার ভরাটের কাজ শেষ করেছে। রাস্তার উভয়পাশের বেশিরভাগ জমির মালিক রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিলেও মাত্র দু’জন মালিকের বাধার কারণে রাস্তাটি স্বপ্নই থেকে যায় গ্রামবাসীদের কাছে। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও আর রাস্তাটির কাজ করতে পারেনি এলাকাবাসী।

স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ফুলাহারা বড় সমাসপুর গ্রামে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। তবে নিয়ামতপুরের বেশিরভাগ এলাকারই চেহারা পাল্টে গেছে। শুধু এ গ্রামটি অবহেলিত। এ গ্রামে সহস্রাধিক লোকের বসবাস। রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী। বর্ষা মৌসুমে গ্রাম থেকে বের হতে হলে জমির আইলের ওপর দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ। কারো মৃত্যু হলে খাটিয়ায় করে লাশ কবরস্থানে নেয়ার উপায় থাকে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এলাকাবাসী আরও জানান, ফুলাহারা সমাসপুরে দু’টি পাড়া রয়েছে। একটি বড় সমাসপুর অন্যটি ছোট সমাসপুর। ছোট সমাসপুর গ্রামের পাস দিয়ে পাকা রাস্তা রয়েছে। কিন্তু বড় সমাসপুরে কোন রাস্তা নেই। বড় সমাসপুর থেকে ছোট সমাসপুরে যাওয়ার জন্য মাত্র ৮শ মিটার রাস্তা জমির আইলের ওপর দিয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মাত্র দু’জনের বাঁধের কারণে রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তাটি নির্মাণ করতে গ্রামবাসী উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় ফুলাহারা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে কামাল এবং ছোট সমাসপুরের মৃত- ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আজাহার আলীর বাধার মুখে রাস্তাটি করা যাচ্ছে না। কারণ ওই দুই ব্যক্তির জমি ওপর দিয়েই রাস্তার নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য লোকের খ- খ- জমি থাকলেও তারা বাধা না দিয়ে রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। এ ব্যাপারে পাড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তোজাম্মেল হক জানান, এ ব্যাপারে যত রকমের সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করবো। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহযোগিতার কথা বলেছেন। পাড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, আমার পাড়ইল ইউনিয়নের এই একটি মাত্র গ্রামই রাস্তা ছাড়া। গ্রামবাসী রাস্তা নির্মাণে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি তা শুধু সমর্থনই করি না রাস্তা নির্মাণে যা যা সহযোগিতা লাগবে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সব রকমের সহযোগিতা করব।