রাজশাহীর চারঘাটে বাজারের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুই উপজেলার দুইটি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ১২ জন।
নিহত ব্যক্তির হলেন, উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছুদিন থেকে চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দিঘলকান্দি এই দুইটি গ্রামের মধ্যে হলিদাগাছি শিশিতলা বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার দিনগত রাত আটটার দিকে দুইটি গ্রামের মধ্যে কয়েকজনরে মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
সংবাদ পেয়ে চারঘাট মডেল থানা ও পুঠিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও ওই ঘটনার জের ধরে গত শনিবার সকালে পুঠিয়া উপজেলার দিঘলকান্দি এর লোকজন মাইকিং মাধ্যমে গ্রামবাসীকে সংঘবদ্ধ করে শিশিতলা নামক বাজারে উঠার চেষ্টা করে। অপরদিকে শিবপুর গ্রামের লোকজন একই কৌশলে অবস্থান করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়া থানার ইন্সপ্টের তদন্ত খালেদুল রহমান, বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সুলতান, বেলপুকুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মুকুলসহ দুটি গ্রামের ৩০ জন বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশে বসেন।
এ সময় দিঘলকান্দি গ্রামের সবুজ ও আবু সামা দুই যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ শিবপুর গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধারাল অস্ত্রে আঘাতে একজন পুলিশ ও ইউপি সদস্য, শিবপুর গ্রামের রেজাউলসহ ৬ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন। এইদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে চারঘাট ইউএনও সৈয়দা সামিরা, পুঠিয়া ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাজ, চারঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি নুরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাটে বাজারের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুই উপজেলার দুইটি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ১২ জন।
নিহত ব্যক্তির হলেন, উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছুদিন থেকে চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দিঘলকান্দি এই দুইটি গ্রামের মধ্যে হলিদাগাছি শিশিতলা বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার দিনগত রাত আটটার দিকে দুইটি গ্রামের মধ্যে কয়েকজনরে মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
সংবাদ পেয়ে চারঘাট মডেল থানা ও পুঠিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও ওই ঘটনার জের ধরে গত শনিবার সকালে পুঠিয়া উপজেলার দিঘলকান্দি এর লোকজন মাইকিং মাধ্যমে গ্রামবাসীকে সংঘবদ্ধ করে শিশিতলা নামক বাজারে উঠার চেষ্টা করে। অপরদিকে শিবপুর গ্রামের লোকজন একই কৌশলে অবস্থান করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়া থানার ইন্সপ্টের তদন্ত খালেদুল রহমান, বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সুলতান, বেলপুকুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মুকুলসহ দুটি গ্রামের ৩০ জন বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশে বসেন।
এ সময় দিঘলকান্দি গ্রামের সবুজ ও আবু সামা দুই যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ শিবপুর গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধারাল অস্ত্রে আঘাতে একজন পুলিশ ও ইউপি সদস্য, শিবপুর গ্রামের রেজাউলসহ ৬ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন। এইদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে চারঘাট ইউএনও সৈয়দা সামিরা, পুঠিয়া ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাজ, চারঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি নুরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।