চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধন এ নোটিশ পাঠান। যাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি.-এর সিইও ও এমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সার। আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রত্যেককে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কুমার হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এর এমডি থাকা অবস্থায় তার আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে আরও বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক বানান এবং একক কর্তৃত্বে অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে পিপলস লিজিংসহ বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির টাকা বিভিন্ন কৌশলে বের করে আত্মসাৎ করেন। পিপলস লিজিং এ আমানতকারীদের ৩ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন এবং ওই কোম্পানিকে পথে বসিয়েছেন। এসব কোম্পানির স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে দেন এবং আমানতকারীদের শেয়ার পোর্টফোলিও থেকে শেয়ার বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া শিপিং লি.কে ৩০ কোটি টাকা এবং এমটিবি মেরিন লি.কে ৩০ কোটি টাকা জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়েছে, যা প্রকৃত পক্ষে লেয়ারিং-এর মাধ্যমে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড লি.এ সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশান্ত কুমার হালদারের নি¤েœাক্ত সহযোগীদের দুদকে তলব করা হয়েছে। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি.-এর সিইও ওএমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সমাদ্দার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সারকে ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিযোগের বিষয়ে।
এর আগে পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর এবং পরিচালক আরেফিন সামসুলসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামীকাল থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই ৭ জনকে বক্তব্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরমধ্যে অন্য ৫ জন হলেনÑ ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ও এমটিবিমেরিন লি.-এর মালিক নওশের উল ইসলাম এবং মমতাজ বেগম, পিকের আত্মীয় সনজিব কুমার হাওলাদার, বাসুদেব ব্যানার্জী এবং পাপিয়া ব্যানার্জী। এরমধ্যে পিপলসের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর এবং পরিচালক সামসুলের আগামীকাল, নওশের, মমতাজ এবং সনজিবকে ১২ জানুয়ারি এবং বাসুদেব ও পাপিয়া বানার্জীকে ১৩ জানুয়ারি দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক বলছে, পিকে হালদার যে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং বিদেশে পাচারসহ নানা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। দুই দফায় যে ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থ লুটের ঘটনায় পিকে হালদারকে নানাভাবে সহযোগিতার অভিযোগ আছে।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধন এ নোটিশ পাঠান। যাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি.-এর সিইও ও এমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সার। আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রত্যেককে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কুমার হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এর এমডি থাকা অবস্থায় তার আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে আরও বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক বানান এবং একক কর্তৃত্বে অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে পিপলস লিজিংসহ বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির টাকা বিভিন্ন কৌশলে বের করে আত্মসাৎ করেন। পিপলস লিজিং এ আমানতকারীদের ৩ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন এবং ওই কোম্পানিকে পথে বসিয়েছেন। এসব কোম্পানির স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে দেন এবং আমানতকারীদের শেয়ার পোর্টফোলিও থেকে শেয়ার বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া শিপিং লি.কে ৩০ কোটি টাকা এবং এমটিবি মেরিন লি.কে ৩০ কোটি টাকা জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়েছে, যা প্রকৃত পক্ষে লেয়ারিং-এর মাধ্যমে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড লি.এ সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশান্ত কুমার হালদারের নি¤েœাক্ত সহযোগীদের দুদকে তলব করা হয়েছে। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি.-এর সিইও ওএমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সমাদ্দার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সারকে ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিযোগের বিষয়ে।
এর আগে পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর এবং পরিচালক আরেফিন সামসুলসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামীকাল থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই ৭ জনকে বক্তব্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরমধ্যে অন্য ৫ জন হলেনÑ ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ও এমটিবিমেরিন লি.-এর মালিক নওশের উল ইসলাম এবং মমতাজ বেগম, পিকের আত্মীয় সনজিব কুমার হাওলাদার, বাসুদেব ব্যানার্জী এবং পাপিয়া ব্যানার্জী। এরমধ্যে পিপলসের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর এবং পরিচালক সামসুলের আগামীকাল, নওশের, মমতাজ এবং সনজিবকে ১২ জানুয়ারি এবং বাসুদেব ও পাপিয়া বানার্জীকে ১৩ জানুয়ারি দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক বলছে, পিকে হালদার যে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং বিদেশে পাচারসহ নানা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। দুই দফায় যে ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থ লুটের ঘটনায় পিকে হালদারকে নানাভাবে সহযোগিতার অভিযোগ আছে।