সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটোর জীবনাবসান

বর্ণাঢ্য রাজনীতির অধিকারী, বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো মারা গেছেন। গতকাল যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি বেশকিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

তিনি তিন ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী ও কর্মী সমর্থক রেখে গেছেন।

খালেদুর রহমান টিটোর বড় ছেলে মাশুক হাসান জয় জানান, কিছুদিন ধরে তার বাবা অসুস্থ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর তিনি নিজ বাসভবনে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ধরা পড়ে, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার উন্নতি হয়। পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলছিল।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খালেদুর রহমান টিটো ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান। মাতা মরহুম করিমা খাতুন।

খালেদুর রহমান টিটো ১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করেন।

১৯৬৭ সালে কলেজের লেখাপড়া শেষে করে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে শ্রমিক রাজনীতি থেকে বের হয়ে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেন। শ্রমিক রাজনীতিতে থাকাকালে তিনি মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি ওই সময়ে শ্রমিকদের সংগঠিত করতে সমর্থ হন। খালেদুর রহমান টিটো যশোরে প্রথম রিকশা ইউনিয়ন তৈরি করে তাদের সংগঠিত করেন এবং ব্যক্তিগত সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করেন। ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে তিনি কৃষক আন্দোলন জোরদার করতে কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও কালীগঞ্জ এলাকা ভ্রমণ করেন।

১৯৭২ সালের ১৮ মে যশোর শহরের চুরিপট্টি এলাকার মেয়ে রওশন আরা বেগম বিন্তকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। স্ত্রী ২০০৭ সালে মারা যান।

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
অপশক্তি প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে কাদের
বিয়ের কাজী হতে পারবে না নারীরা হাইকোর্ট
ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো করোনাও স্থায়ী হবে
এইচএসসি’র ফল প্রকাশের অধ্যাদেশ অনুমোদন আজ
শিক্ষার্থী ধর্ষণ-হত্যা আসামির ডিএনএ পরীক্ষা হবে
নির্বাচনে কোন অনিয়ম হলে দুর্বার আন্দোলন হবে কাদের মির্জা
বরিশালের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে
জনগণের টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে মির্জা ফখরুল
ফের জামিন নাকচ ওসি প্রদীপের
দিনে ফেরিওয়ালা রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই গ্রেফতার ৪
‘করোনা মোকাবিলায় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা ছিল মহাকাব্যিক’
আশুলিয়ায় জাল টাকার কারখানা গ্রেফতার ২
‘তুরাগ পাড়ে নতুন সিটি তৈরি হবে’

সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটোর জীবনাবসান

যশোর অফিস

বর্ণাঢ্য রাজনীতির অধিকারী, বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো মারা গেছেন। গতকাল যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি বেশকিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

তিনি তিন ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী ও কর্মী সমর্থক রেখে গেছেন।

খালেদুর রহমান টিটোর বড় ছেলে মাশুক হাসান জয় জানান, কিছুদিন ধরে তার বাবা অসুস্থ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর তিনি নিজ বাসভবনে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ধরা পড়ে, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার উন্নতি হয়। পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলছিল।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খালেদুর রহমান টিটো ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান। মাতা মরহুম করিমা খাতুন।

খালেদুর রহমান টিটো ১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করেন।

১৯৬৭ সালে কলেজের লেখাপড়া শেষে করে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে শ্রমিক রাজনীতি থেকে বের হয়ে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেন। শ্রমিক রাজনীতিতে থাকাকালে তিনি মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি ওই সময়ে শ্রমিকদের সংগঠিত করতে সমর্থ হন। খালেদুর রহমান টিটো যশোরে প্রথম রিকশা ইউনিয়ন তৈরি করে তাদের সংগঠিত করেন এবং ব্যক্তিগত সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করেন। ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে তিনি কৃষক আন্দোলন জোরদার করতে কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও কালীগঞ্জ এলাকা ভ্রমণ করেন।

১৯৭২ সালের ১৮ মে যশোর শহরের চুরিপট্টি এলাকার মেয়ে রওশন আরা বেগম বিন্তকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। স্ত্রী ২০০৭ সালে মারা যান।