করোনার ভ্যাকসিন আমদানির প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ভ্যাকসিন পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী মধ্যস্বত্বভোগী নিয়োগ দেয়ার মধ্যদিয়ে নীতিগতভাবেই শুধু নয়, আইনগতভাবেও অপরাধমূলক একটা কাজ হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন আমদানি প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির ফলে জনগণের এই টিকাপ্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভ্যাকসিন কবে আসবে এটা নিয়ে গোটা জাতির সঙ্গে আমরাও চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এখন পর্যন্ত সরকার কোন সুনির্দিষ্ট সময়ও নির্ধারণ করতে পারেনি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ভারত যে টিকা রপ্তানি করবে তার কোন নিশ্চয়তা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। কারণ ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারতের চাহিদা মেটানো হবে, তারপর তারা নির্ধারণ করবেন। তাদের পররাষ্ট্র সচিবও একই কথা বলছেন। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তারা চুক্তি করেছেন, শ্রীলঙ্কাকে তারা অগ্রাধিকার দেবেন। এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট এবং এটা পুরোপুরিভাবে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে আবার প্রতারণার শিকার করা হচ্ছে।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনার ভ্যাকসিন আমদানির প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ভ্যাকসিন পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী মধ্যস্বত্বভোগী নিয়োগ দেয়ার মধ্যদিয়ে নীতিগতভাবেই শুধু নয়, আইনগতভাবেও অপরাধমূলক একটা কাজ হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন আমদানি প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির ফলে জনগণের এই টিকাপ্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভ্যাকসিন কবে আসবে এটা নিয়ে গোটা জাতির সঙ্গে আমরাও চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এখন পর্যন্ত সরকার কোন সুনির্দিষ্ট সময়ও নির্ধারণ করতে পারেনি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ভারত যে টিকা রপ্তানি করবে তার কোন নিশ্চয়তা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। কারণ ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারতের চাহিদা মেটানো হবে, তারপর তারা নির্ধারণ করবেন। তাদের পররাষ্ট্র সচিবও একই কথা বলছেন। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তারা চুক্তি করেছেন, শ্রীলঙ্কাকে তারা অগ্রাধিকার দেবেন। এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট এবং এটা পুরোপুরিভাবে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে আবার প্রতারণার শিকার করা হচ্ছে।