‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য জটিলতার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব’

বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে উদ্যােগ গ্রহণে একমত বাংলাদেশ-ভারত। আন্তরিকতার সঙ্গে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব বলেও একমত দুই দেশ। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর মতবিনিময়কালে তারা বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের চলমান বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। ননট্যারিফ ব্যারিয়ারগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা যায়। সীমান্তে কাস্টমস ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এজন্য উভয় দেশকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য জটিলতা দূর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর প্রশংসা করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যাগুলো আগেই সমাধান করা যেত। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ এসেছে। এখন সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধমে এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব। রামগড় সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের ফলে উভয় দেশের আমদানি ও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কাস্টমস হাউজ ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করে কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। এতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সীমান্তে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ১৯৬ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে পাঁচ হাজার ৭৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য জটিলতার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে উদ্যােগ গ্রহণে একমত বাংলাদেশ-ভারত। আন্তরিকতার সঙ্গে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব বলেও একমত দুই দেশ। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর মতবিনিময়কালে তারা বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের চলমান বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। ননট্যারিফ ব্যারিয়ারগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা যায়। সীমান্তে কাস্টমস ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এজন্য উভয় দেশকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য জটিলতা দূর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর প্রশংসা করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যাগুলো আগেই সমাধান করা যেত। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ এসেছে। এখন সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধমে এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব। রামগড় সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের ফলে উভয় দেশের আমদানি ও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কাস্টমস হাউজ ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করে কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। এতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সীমান্তে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ১৯৬ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে পাঁচ হাজার ৭৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে।