এসএমই খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বলে উল্লেখ্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এনকেএ মবিন এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, যার আলোকে বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের স্থান ধরে রাখা এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক এবং এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের এসএমই খাত অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, যারা জিডিপিতে প্রায় ২৬ শতাংশ অবদান রাখে এবং এ খাতের বিকাশে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী দেশের রপ্তানিমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় সব খাতসমূহকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এলডিসিউত্তর সময়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং একই সঙ্গে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে পোশাক খাতের ন্যায় সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী পণ্যের জন্য আর্থিক এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোম্পানি আইনের আওতায়, একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা ও বিক্রয় সীমা ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের আরও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এ সীমা পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সার্বিক উন্নয়নে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।

রিজওয়ান রাহমান আরও বলেন, করোনা মহামারী মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে এর আওতায় প্রাপ্ত ঋণ সুবিধা ফেরতের সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ১ বছর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারি খাত দেশের রপ্তানি এবং বিনিয়োগ অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ডিসিসিআই মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং সচিব মো. জয়নাল আবদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।