দেশে করোনায় মৃত্যু ৭৮০০ ছাড়ালো

একদিনে শনাক্ত ৮৪৯

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৮০৩ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৮৪৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ১৮১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৭১ হাজার ৪১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ০২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও নারী সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন। এছাড়া খুলনা ও সিলেট বিভাগে একজন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২১ জন। বাড়িতে একজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১১৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৭ হাজার ৫৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৩২৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৪৭ জন।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দেশে করোনায় মৃত্যু ৭৮০০ ছাড়ালো

একদিনে শনাক্ত ৮৪৯

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৮০৩ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৮৪৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ১৮১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৭১ হাজার ৪১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ০২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও নারী সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন। এছাড়া খুলনা ও সিলেট বিভাগে একজন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২১ জন। বাড়িতে একজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১১৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৭ হাজার ৫৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৩২৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৪৭ জন।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।