সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তাপসের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এক মামলার বাদী রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকার হাতিরপুলের ভুতের গলি, ৮/৯ নর্থ সার্কুলার রোডের ২য় তলার বাসিন্দা মৃত কাজী ময়েন উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে কাজী আনিসুর রহামান। অন্য মামলার বাদী হাজারীবাগের ৬৬ ভাগলপুর লেনের মৃত মনু মিয়ার ছেলে অ্যাডভোকেট মো. সারোয়ার আলম।

গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী দুই মামলার বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানান।

মামলার ব্যাপারে আইনজীবী সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জনান, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে ৯ জানুয়ারি সাঈদ খোকন মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। যে কারণে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও সাংবাদিকদের জানান, তিনিও সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। মেয়র শেখ ফজলে নূর সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই তিনি (সাঈদ খোকন) মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি। তিনি নিজে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকার করেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এটা মানহানিকর হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে পারি। আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তো আইনি ব্যবস্থাই নিতে হবে।

গত শনিবার হাইকোর্ট এলাকায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নানা অভিযোগ তোলেন শেখ তাপসের বিরুদ্ধে। সাঈদ খোকনের এসব অভিযোগের বিষয়ে গত রোববার তাপস বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোন কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেয়াটা সমীচীন মনে করি না।’

কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তাপসের

আদালত বার্তা পরিবেশক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এক মামলার বাদী রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকার হাতিরপুলের ভুতের গলি, ৮/৯ নর্থ সার্কুলার রোডের ২য় তলার বাসিন্দা মৃত কাজী ময়েন উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে কাজী আনিসুর রহামান। অন্য মামলার বাদী হাজারীবাগের ৬৬ ভাগলপুর লেনের মৃত মনু মিয়ার ছেলে অ্যাডভোকেট মো. সারোয়ার আলম।

গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী দুই মামলার বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানান।

মামলার ব্যাপারে আইনজীবী সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জনান, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে ৯ জানুয়ারি সাঈদ খোকন মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। যে কারণে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও সাংবাদিকদের জানান, তিনিও সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। মেয়র শেখ ফজলে নূর সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই তিনি (সাঈদ খোকন) মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি। তিনি নিজে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকার করেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এটা মানহানিকর হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে পারি। আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তো আইনি ব্যবস্থাই নিতে হবে।

গত শনিবার হাইকোর্ট এলাকায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নানা অভিযোগ তোলেন শেখ তাপসের বিরুদ্ধে। সাঈদ খোকনের এসব অভিযোগের বিষয়ে গত রোববার তাপস বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোন কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেয়াটা সমীচীন মনে করি না।’

কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।