জাপানে করোনার আরেকটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত

এশিয়ার দেশ জাপানে করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের করোনা প্রজাতি থেকে এটি আলাদা। টোকিওর ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট এ তথ্য জানিয়েছে। ডিডব্লিউ

ব্রাজিলের চার যাত্রীর শরীর থেকে নতুন এই স্ট্রেইনটি পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তারা প্রত্যেকেই ব্রাজিল থেকে টোকিও বিমানবন্দরে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে নতুন স্ট্রেইনটির বিষয়ে এখনও বিশদ কিছু জানা যায়নি। গত কয়েক দিনে ব্রাজিল থেকে একাধিক যাত্রী টোকিওতে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে বিমানবন্দরেই আটকানো হয়। প্রত্যেকের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। বিমানবন্দরেই তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। চারজনের মধ্যে বছর চল্লিশের এক পুরুষ যাত্রীকে রোববার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। বাকি তিনজনকে এখনও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। একজনের গলা ব্যথা আছে। অন্য দুইজনের সামান্য জ্বর আছে। চারজনের করোনাভাইরাসের নমুনাই পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশন ডিজিজে। সংস্থাটির প্রধান টাকাজি ওয়াকিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গেছে ওই যাত্রীদের শরীর থেকে। এটি যুক্তরাজ্যের স্ট্রেইনের থেকে আলাদা। তবে এটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা, সে বিষয়ে এখনই জানাতে পারেননি তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়ার পরই সতর্ক হয়েছে জাপানের প্রশাসন। টোকিওসহ বিভিন্ন শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী গ্রীষ্মে জাপানে অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক হওয়ার কথা। বস্তুত গত বছরই জাপানে অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। প্যানডেমিকের জন্য তা এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে দেশটিতে নতুন স্ট্রেইনের করোনা শনাক্ত হলো।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

জাপানে করোনার আরেকটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত

image

এশিয়ার দেশ জাপানে করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের করোনা প্রজাতি থেকে এটি আলাদা। টোকিওর ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট এ তথ্য জানিয়েছে। ডিডব্লিউ

ব্রাজিলের চার যাত্রীর শরীর থেকে নতুন এই স্ট্রেইনটি পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তারা প্রত্যেকেই ব্রাজিল থেকে টোকিও বিমানবন্দরে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে নতুন স্ট্রেইনটির বিষয়ে এখনও বিশদ কিছু জানা যায়নি। গত কয়েক দিনে ব্রাজিল থেকে একাধিক যাত্রী টোকিওতে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে বিমানবন্দরেই আটকানো হয়। প্রত্যেকের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। বিমানবন্দরেই তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। চারজনের মধ্যে বছর চল্লিশের এক পুরুষ যাত্রীকে রোববার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। বাকি তিনজনকে এখনও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। একজনের গলা ব্যথা আছে। অন্য দুইজনের সামান্য জ্বর আছে। চারজনের করোনাভাইরাসের নমুনাই পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশন ডিজিজে। সংস্থাটির প্রধান টাকাজি ওয়াকিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গেছে ওই যাত্রীদের শরীর থেকে। এটি যুক্তরাজ্যের স্ট্রেইনের থেকে আলাদা। তবে এটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা, সে বিষয়ে এখনই জানাতে পারেননি তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়ার পরই সতর্ক হয়েছে জাপানের প্রশাসন। টোকিওসহ বিভিন্ন শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী গ্রীষ্মে জাপানে অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক হওয়ার কথা। বস্তুত গত বছরই জাপানে অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। প্যানডেমিকের জন্য তা এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে দেশটিতে নতুন স্ট্রেইনের করোনা শনাক্ত হলো।