পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে করোনার টিকা! বিদ্রুপ বিজেপির

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনাপয়সায় করোনার টিকা দেবে রাজ্য সরকার। এ ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করছে বিজেপি। তারা বলছে- ‘এবার টিকাশ্রী’!

মমতার একাধিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘শ্রী’ শব্দটি। যেমন কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, পড়োশ্রী, খেলাশ্রী ইত্যাদি। প্রকল্পগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ নামে তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক শিবিরও। ভারতে করোনার টিকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সফল মহড়াও হয়েছে। মমতা ব্যানার্জিসহ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যেই মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্যের এসপি ও ডিএমদের নির্দেশ পাঠিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য। প্রথমদিকে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। মমতার নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভারত সরকারের প্রকল্পের নামই বদলে দিতে পারেন মমতা। এমনই আশঙ্কা শুভেন্দুর। তার দাবি, ইতোমধ্যেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। শুভেন্দু বলেন, ‘আবার না কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম চুরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী এর নাম টিকাশ্রী না দিয়ে দেন!’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য করোনা প্রতিরোধে আধ্যাত্মিকতার ওপরই আস্থা রাখছেন। তিনি বলছেন- ভগবানের ওপর বিশ্বাসই করোনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বর্ধমান জেলায় হিন্দুদের ধর্মসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী বলে মরার ভয় নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান কাজে লাগছে না। আমরা বাড়িতে আদা-হলুদ খেয়ে সুস্থ আছি।’ উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষেরও করোনা হয়েছিল। তিনি ভর্তিও হয়েছিলেন হাসপাতালে। ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে। তার আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে নিজের সন্দেহ প্রকাশ করেন দিলীপ। এমনিতেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য খ্যাত দিলীপ ঘোষ। তার এ মন্তব্যের জন্য আবারও সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি বিজেপির রাজ্য নেতারাও তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন। সিপিএম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কটাক্ষ করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের আধ্যাত্মিক তত্ত্বের।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে করোনার টিকা! বিদ্রুপ বিজেপির

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনাপয়সায় করোনার টিকা দেবে রাজ্য সরকার। এ ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করছে বিজেপি। তারা বলছে- ‘এবার টিকাশ্রী’!

মমতার একাধিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘শ্রী’ শব্দটি। যেমন কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, পড়োশ্রী, খেলাশ্রী ইত্যাদি। প্রকল্পগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ নামে তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক শিবিরও। ভারতে করোনার টিকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সফল মহড়াও হয়েছে। মমতা ব্যানার্জিসহ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যেই মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্যের এসপি ও ডিএমদের নির্দেশ পাঠিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য। প্রথমদিকে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। মমতার নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভারত সরকারের প্রকল্পের নামই বদলে দিতে পারেন মমতা। এমনই আশঙ্কা শুভেন্দুর। তার দাবি, ইতোমধ্যেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। শুভেন্দু বলেন, ‘আবার না কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম চুরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী এর নাম টিকাশ্রী না দিয়ে দেন!’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য করোনা প্রতিরোধে আধ্যাত্মিকতার ওপরই আস্থা রাখছেন। তিনি বলছেন- ভগবানের ওপর বিশ্বাসই করোনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বর্ধমান জেলায় হিন্দুদের ধর্মসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী বলে মরার ভয় নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান কাজে লাগছে না। আমরা বাড়িতে আদা-হলুদ খেয়ে সুস্থ আছি।’ উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষেরও করোনা হয়েছিল। তিনি ভর্তিও হয়েছিলেন হাসপাতালে। ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে। তার আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে নিজের সন্দেহ প্রকাশ করেন দিলীপ। এমনিতেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য খ্যাত দিলীপ ঘোষ। তার এ মন্তব্যের জন্য আবারও সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি বিজেপির রাজ্য নেতারাও তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন। সিপিএম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কটাক্ষ করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের আধ্যাত্মিক তত্ত্বের।