ফরিদপুরে অবহতিকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‘দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ’

দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ফরিদপুরে জেলায় আউট চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রেজ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘দয়া করে কেউ ফেইক ছাত্র, ফেইক শিক্ষক আনবেন না, তাদের নিামে কার্যক্রম পরিচালিত করবেন না। তাহলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মহৎ এ উদ্যোগকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’

সভায় জানানো হয় বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অঙ্গণে ফিরিয়ে এনে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সংযুক্ত করাই এ কার্যক্রমের উদ্দেশ। এটি শুরু হয়েছে গত ২০১৮ সালের ১ জুলাই এবং শেষ হবে আগামী ২০৩০ সালের ৩০ জুন। সরকারি উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করবে। ফরিদপুরে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে এসো জাতি গড়ি নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে।

সভায় আরও জানানো হয় দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশার্রফ আলী ও অধ্যাপক মো. শাহ্জাহান।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ফরিদপুরে অবহতিকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‘দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ’

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ফরিদপুরে জেলায় আউট চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রেজ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘দয়া করে কেউ ফেইক ছাত্র, ফেইক শিক্ষক আনবেন না, তাদের নিামে কার্যক্রম পরিচালিত করবেন না। তাহলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মহৎ এ উদ্যোগকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’

সভায় জানানো হয় বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অঙ্গণে ফিরিয়ে এনে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সংযুক্ত করাই এ কার্যক্রমের উদ্দেশ। এটি শুরু হয়েছে গত ২০১৮ সালের ১ জুলাই এবং শেষ হবে আগামী ২০৩০ সালের ৩০ জুন। সরকারি উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করবে। ফরিদপুরে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে এসো জাতি গড়ি নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে।

সভায় আরও জানানো হয় দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশার্রফ আলী ও অধ্যাপক মো. শাহ্জাহান।