দেশে প্রথম বারের মতো ময়মনসিংহে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাম্যমাণ মাদকাসক্ত শনাক্তকরণের ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যৌথভাবে এটি পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গত রোববার বিকেলে নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও যথাযথ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমন কার্যক্রম খুবই সময়োপযোগী। কেন না, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার থেকে যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমগ্রহণ করা হবে। যাতে করে আমাদের যুব সমাজ কোনভাবেই এই করাল গ্রাসে নিপতিত না হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খুরশিদ আলম, রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহাসহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে সন্দেহভাজন ১৫ ব্যক্তির ডোপ টেস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের পজেটিভ পাওয়া যায়। তবে প্রথম দিনে ক্ষমা চাওয়ায় ও মাদক সেবন না করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য গ্রহণে মানুষকে নিরুৎসাহিত ও প্রতিরোধ করতে জেলাজুড়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই টেস্টে পজেটিভ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা তৈরি হবে এবং আমরা মাদকমুক্ত ময়মনসিংহ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য, জেলাব্যাপী এ কার্যক্রমে সহযোগিতায় থাকছে র্যাব-১৪, জেলা পুলিশ ও ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ
দেশে প্রথম বারের মতো ময়মনসিংহে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাম্যমাণ মাদকাসক্ত শনাক্তকরণের ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যৌথভাবে এটি পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গত রোববার বিকেলে নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও যথাযথ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমন কার্যক্রম খুবই সময়োপযোগী। কেন না, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার থেকে যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমগ্রহণ করা হবে। যাতে করে আমাদের যুব সমাজ কোনভাবেই এই করাল গ্রাসে নিপতিত না হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খুরশিদ আলম, রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহাসহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে সন্দেহভাজন ১৫ ব্যক্তির ডোপ টেস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের পজেটিভ পাওয়া যায়। তবে প্রথম দিনে ক্ষমা চাওয়ায় ও মাদক সেবন না করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য গ্রহণে মানুষকে নিরুৎসাহিত ও প্রতিরোধ করতে জেলাজুড়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই টেস্টে পজেটিভ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা তৈরি হবে এবং আমরা মাদকমুক্ত ময়মনসিংহ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য, জেলাব্যাপী এ কার্যক্রমে সহযোগিতায় থাকছে র্যাব-১৪, জেলা পুলিশ ও ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।