বাস থামে না বাস স্টপেজে

রাজধানীর সায়েদাবাদ জনপথ মোড়। বাসযাত্রীদের ওঠানামার জন্য একটি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ আছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যস্ত ১ ঘণ্টায় শতাধিক বাস-মিনিবাস জনপথ মোড় অতিক্রম করে। কিন্তু একটি বাসও স্টপেজে থামেনি। পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র সায়েদাবাদ যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ। ময়লা-আবর্জনায় ভরা যাত্রীদের বসার বেঞ্চ, টিকিট কাউন্টারের বুথ হকার ও ভাসমান মাদকসেবীদের দখলে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস স্টপেজগুলোর একই অবস্থা দেখা গেছে। রাজধানীতে ডিএসসিসি ৪০টি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করেছে। যাত্রীদের ওঠানামার জন্য এ সব স্টপেজ ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করছে না বাসচালকরা। বাস স্টপেজ ব্যবহার না করে নিজেদের ইচ্ছেমত বিভিন্ন সড়কের মাঝে ও মোড়ে যাত্রী ওঠানামা হচ্ছে। এতে একদিকে সড়কে তৈরি হচ্ছে যানজট। অপরদিকে তাড়াহুড়া করে যাত্রীরা বাসে উঠতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র সদরদপ্তরে ট্রাফিক বিভাগের এক অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘রাজধানীর রাস্তা যানজটমুক্ত ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে সড়কে মোড়সমূহে গাড়ি দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’ তবে গতশের কাছে পৌঁছায়নি বলে ট্রাফিক পুলিশরা জানায়।

এ বিষয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে শফিকুল ইসলাম নামের এক ট্রাফিক পুলিশ সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তা আমাদের মাঠ পর্যায়ে আসে না। তবে, আমার জানা মতে লিখিত কোন নির্দেশনা পায়নি। করোনার আগে মামলার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর তা আর কার্যকর হয়নি। এছাড়া যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি হওয়ায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় প্রতিটি সড়কের মোড়ে সিটি করপোরেশনের বাস স্টপেজ থাকার কথা কিন্তু তা নেই। সিটি করপোরেশন যেসব স্থানে বাস স্টপেজ তৈরি করেছে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করে না। তাই মোড়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে বেশিক্ষণ বাস দাঁড়াতে দেয়া হয় না।’

এ বিষয়ে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘সড়কে যানজটমুক্ত ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে মোড়সমূহে গাড়ি দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাস পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এই জানুয়ারি মাসে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বাস থামার স্থান নির্ধারণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ৪০টি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কারওয়ান বাজার পান্থকুঞ্জ পার্কের পাশে ১টি, মতিঝিলের শাপলা চত্বরের পশ্চিম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর পাশে ২টি, বাংলামটরে রূপায়ন ভবনের সামনে ১টি, শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের পাশে ১টি, পুরানা পল্টনে আজাদ প্রোডাক্টসের পাশে ১টি, মালিবাগ বাজার ও রেলক্রসিংয়ে ২টি, খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ও উল্টা পাশে ২টি, টিটিপাড়া অতীশ দীপঙ্কর সড়কে ১টি, আজিমপুর এতিমখানা, স্টাফ কোয়ার্টার ও চৌরাস্তা ৩টি, জিপিও’র পশ্চিম পাশে মুক্তাঙ্গন পার্কে ১টি, গুলিস্তান টিএন্ডটি অফিস-আহাদ পুলিশ বক্স-আন্ডার পাস ৩টি, ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় ও পশ্চিম পাশে ২টি, সায়েদাবাদ জনপথ মোড় ১টি, যাত্রাবাড়ী থানার পাশে ১টি, টিকাটুলী মোড়ে ১টি, বাসাবো জনপথ মোড়ে ১টি, মৌচাক ফরচুন মার্কেটের পূর্ব পাশে ১টি, ইত্তেফাক মোড়ে ১টি, রাজধানী মার্কেটের বিপরীত পাশে বলধা গার্ডেনের সামনে ১টি, রাজউক ভবনের বিপরীত পাশে ১টি, বৌদ্ধ মন্দিরে ১টি, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সংযোগ সড়কে ১টি, শনিরআঁখড়া দক্ষিণ পাশে ১টি, রায়েরবাগ দক্ষিণ পাশে ১টি, চাঁনখারপুল বার্ন ইউনিটের কাছে ১টি, আরামবাগ আল-হেলাল পুলিশ বক্সের কাছে ১টি, নটরডেম কলেজের সামনে ১টি, মৎস্য ভবনের সামনে ১টি, শাহজাহানপুর রেলওয়ে হাসপাতাল ও কলোনির সামনে ২টি, মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সমানে ১টি ও মুগদা জনপথ সড়কে ১টি নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে এ সব যাত্রী ছাউনি ও স্টপেজের বেশিরভাগ স্থানে বাস থামানো হয় না বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। কিন্তু চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, যে সব স্থানে বাস স্টপেজগুলো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বাস রাখা ও যাত্রী ওঠানামার অবস্থা নেই। কারণ খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা ভরা বাস স্টপেজের সামনের সড়ক। এছাড়া যাত্রী ছাউনিতে যাত্রী থাকে না। হকার ও মাদকসেবীদের দখলে এ সব যাত্রী ছাউনি। এছাড়া অনেক স্থানে নির্মাণের কিছু দিন পর ভেঙে গেছে যাত্রী ছাউনি। তাই সেখানে যাত্রী পাওয়া যায় সেখান থেকেই যাত্রী উঠানো হয়। সিটি করপোরেশন থেকে বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি বলে জানান বাস চালকরা।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনসী মো. আবুল হাসেম সংবাদকে বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের আধুনিক এ সব যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ৪০টি বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য বেঞ্চ ও বাসের টিকিট ক্রয়ের জন্য কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। তবে বাস চালকরা বেশি যাত্রীর আশায় স্টপেজগুলো ব্যবহার করে না। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের তদারকি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বাস থামে না বাস স্টপেজে

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

image

রাজধানীর সায়দাবাদের জনপথ মোড়ের পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনি -সংবাদ

রাজধানীর সায়েদাবাদ জনপথ মোড়। বাসযাত্রীদের ওঠানামার জন্য একটি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ আছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যস্ত ১ ঘণ্টায় শতাধিক বাস-মিনিবাস জনপথ মোড় অতিক্রম করে। কিন্তু একটি বাসও স্টপেজে থামেনি। পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র সায়েদাবাদ যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ। ময়লা-আবর্জনায় ভরা যাত্রীদের বসার বেঞ্চ, টিকিট কাউন্টারের বুথ হকার ও ভাসমান মাদকসেবীদের দখলে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস স্টপেজগুলোর একই অবস্থা দেখা গেছে। রাজধানীতে ডিএসসিসি ৪০টি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করেছে। যাত্রীদের ওঠানামার জন্য এ সব স্টপেজ ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করছে না বাসচালকরা। বাস স্টপেজ ব্যবহার না করে নিজেদের ইচ্ছেমত বিভিন্ন সড়কের মাঝে ও মোড়ে যাত্রী ওঠানামা হচ্ছে। এতে একদিকে সড়কে তৈরি হচ্ছে যানজট। অপরদিকে তাড়াহুড়া করে যাত্রীরা বাসে উঠতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র সদরদপ্তরে ট্রাফিক বিভাগের এক অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘রাজধানীর রাস্তা যানজটমুক্ত ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে সড়কে মোড়সমূহে গাড়ি দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’ তবে গতশের কাছে পৌঁছায়নি বলে ট্রাফিক পুলিশরা জানায়।

এ বিষয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে শফিকুল ইসলাম নামের এক ট্রাফিক পুলিশ সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তা আমাদের মাঠ পর্যায়ে আসে না। তবে, আমার জানা মতে লিখিত কোন নির্দেশনা পায়নি। করোনার আগে মামলার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর তা আর কার্যকর হয়নি। এছাড়া যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি হওয়ায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় প্রতিটি সড়কের মোড়ে সিটি করপোরেশনের বাস স্টপেজ থাকার কথা কিন্তু তা নেই। সিটি করপোরেশন যেসব স্থানে বাস স্টপেজ তৈরি করেছে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করে না। তাই মোড়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে বেশিক্ষণ বাস দাঁড়াতে দেয়া হয় না।’

এ বিষয়ে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘সড়কে যানজটমুক্ত ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে মোড়সমূহে গাড়ি দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাস পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এই জানুয়ারি মাসে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বাস থামার স্থান নির্ধারণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ৪০টি যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কারওয়ান বাজার পান্থকুঞ্জ পার্কের পাশে ১টি, মতিঝিলের শাপলা চত্বরের পশ্চিম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর পাশে ২টি, বাংলামটরে রূপায়ন ভবনের সামনে ১টি, শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের পাশে ১টি, পুরানা পল্টনে আজাদ প্রোডাক্টসের পাশে ১টি, মালিবাগ বাজার ও রেলক্রসিংয়ে ২টি, খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ও উল্টা পাশে ২টি, টিটিপাড়া অতীশ দীপঙ্কর সড়কে ১টি, আজিমপুর এতিমখানা, স্টাফ কোয়ার্টার ও চৌরাস্তা ৩টি, জিপিও’র পশ্চিম পাশে মুক্তাঙ্গন পার্কে ১টি, গুলিস্তান টিএন্ডটি অফিস-আহাদ পুলিশ বক্স-আন্ডার পাস ৩টি, ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় ও পশ্চিম পাশে ২টি, সায়েদাবাদ জনপথ মোড় ১টি, যাত্রাবাড়ী থানার পাশে ১টি, টিকাটুলী মোড়ে ১টি, বাসাবো জনপথ মোড়ে ১টি, মৌচাক ফরচুন মার্কেটের পূর্ব পাশে ১টি, ইত্তেফাক মোড়ে ১টি, রাজধানী মার্কেটের বিপরীত পাশে বলধা গার্ডেনের সামনে ১টি, রাজউক ভবনের বিপরীত পাশে ১টি, বৌদ্ধ মন্দিরে ১টি, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সংযোগ সড়কে ১টি, শনিরআঁখড়া দক্ষিণ পাশে ১টি, রায়েরবাগ দক্ষিণ পাশে ১টি, চাঁনখারপুল বার্ন ইউনিটের কাছে ১টি, আরামবাগ আল-হেলাল পুলিশ বক্সের কাছে ১টি, নটরডেম কলেজের সামনে ১টি, মৎস্য ভবনের সামনে ১টি, শাহজাহানপুর রেলওয়ে হাসপাতাল ও কলোনির সামনে ২টি, মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সমানে ১টি ও মুগদা জনপথ সড়কে ১টি নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে এ সব যাত্রী ছাউনি ও স্টপেজের বেশিরভাগ স্থানে বাস থামানো হয় না বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। কিন্তু চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, যে সব স্থানে বাস স্টপেজগুলো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বাস রাখা ও যাত্রী ওঠানামার অবস্থা নেই। কারণ খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা ভরা বাস স্টপেজের সামনের সড়ক। এছাড়া যাত্রী ছাউনিতে যাত্রী থাকে না। হকার ও মাদকসেবীদের দখলে এ সব যাত্রী ছাউনি। এছাড়া অনেক স্থানে নির্মাণের কিছু দিন পর ভেঙে গেছে যাত্রী ছাউনি। তাই সেখানে যাত্রী পাওয়া যায় সেখান থেকেই যাত্রী উঠানো হয়। সিটি করপোরেশন থেকে বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি বলে জানান বাস চালকরা।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনসী মো. আবুল হাসেম সংবাদকে বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের আধুনিক এ সব যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ৪০টি বাস স্টপেজ তৈরি করা হয়েছে। বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য বেঞ্চ ও বাসের টিকিট ক্রয়ের জন্য কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। তবে বাস চালকরা বেশি যাত্রীর আশায় স্টপেজগুলো ব্যবহার করে না। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের তদারকি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।