মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে চার কারণে

ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশের নানা উদ্যোগ

জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও গত বছর (২০২০) সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তথ্যে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহাসড়কে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৩০টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪৩৮ জন। আর আহত হয়েছে ১৮১৮ জন। দুর্ঘটনার মধ্যে বাস ও ট্রাক বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

২০২০ সালে জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহাসড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭৯১টি। এতে মারা গেছেন ১৫৮৭ জন। আর আহত হয়েছে ২০০৭ জন। এরমধ্যে ট্রাক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫৬১টি। আর বাস দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪৩৬টি। মাইক্রোবাস ১১৯টি, প্রাইভেটকার ও জিপ ১১২টি, মোটরসাইকেল ৪৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ৩৫৪টি, বেবি টেক্সি ১৯টি, রিকশাভ্যান ৬৮টি।

গত বছর ৪টি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। কারণগুলোর মধ্যে ১. পেছন থেকে যানবাহনকে ধাক্কা, ২. বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, ৩. দুটি যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ৪. নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাকবলে পড়া।

হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে বছরের শুরুতে নতুন করে পরিকল্পনা করেছেন। এজন্য বেপরোয়া গতির যানবাহন চিহ্নিত, ড্রাইভার ও হেলপারকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও মদ্যপানরত অবস্থায় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, সড়কে ব্ল্যাক স্পটগুলো শনাক্ত, খানাখন্দ চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালে মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ার কারণে। আর অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে। এ দুর্ঘটনার সংখ্যা ৭৩৮টি।

জানা গেছে, পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ার কারণে গত বছর ৭৯৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানোর কারণে ৪৯০টি দুর্ঘটনা ঘটছে। ২৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ২২৪টি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। আর গভীর রাতে মহাসড়কে এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড দেয়ার পর অনেক সময় চালকরা দুর্ঘটনাকবলিত স্থানগুলোতে ঘন কুয়াশার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

মহাসড়কে অবৈধ বা নিষিদ্ধ যানবাহন, নসিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি হুইলার, অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার পরও এখনও চলাচল করছে। এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পর অনেকেই আইন অমান্য করে মহাসড়কে চালাতে গেলে বেপরোয়া গতির যানবাহনের সামনে পড়ে পেছন থেকে ধাক্কা বা মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রী মারা যাচ্ছে।

হাইওয়ে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, দেশে জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৮১৩ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ২শ’ ৪৭ কিলোমিটার। অন্যান্য সড়ক ১৩ হাজার ২৪২ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সারাদেশে প্রায় ২১ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার সড়ক ও মহাসড়ক রয়েছে।

সচেতনতামূলক উদ্যোগগুলোর মধ্যে যানবাহনের ড্রাইভার, হেলপার এমনকি বাসের মালিকদের উপস্থিতিতে আচরণগত শিক্ষাসহ নানা ধরনের সচেতনতামূলত গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে ১২০টির বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আর বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচল ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশ নিরাপদ ডিটেক্টর মেশিন নিয়ে তা চিহ্নিত করে প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। রাতে যানবাহন চালাতে গিয়ে কেউ মদ্যপান করছে কিনা তাও চিহ্নিত করার জন্য চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে। চালক ও হেলপাররা যাত্রীদের সঙ্গে যাতে খারাপ আচরণ না করে সেজন্য চালক ও হেলপারকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে।

মানবিক হাইওয়ে পুলিশ হিসেবে দুর্ঘটনার পর আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যারা মহাসড়কে পেট্রোল ডিউটি করে তাদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মুজিবর্ষ উপলক্ষে মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকতা সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কের দুই পার্শে্ব অবৈধ ৪৪১টি হাট-বাজর অপসারণ, মহাসড়কের ১৯১টি খানাখন্দ চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি ও ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর ইতোমধ্যে ড্রাইভার ও হেলপারদের নিয়ে ৭৮৮টি সচেতনতামূলক মিটিং করা হয়েছে। এভাবে মহাসড়ককে নিরাপদ করতে যা কিছু দরকার হাইওয়ে পুলিশ সবই করবে বলে জানান। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। নতুন করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজও চলছে।

image
আরও খবর
সত্য প্রচারে সবাইকে অনলাইন একটিভিস্ট গ্রুপ গড়তে হবে কাদের
টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
আ’লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দুই প্রতিশ্রুতি
চার রুটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইট বন্ধ
পিকে হালদারের ৫ সহযোগী দুদকে হাজির হয়নি
হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ঢাবি প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ
রংপুরে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে
বাবু নগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ পিবিআইর
কুতুবছড়ি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক খালে : নিহত ৩
এমপি নিজাম ও একরামের অস্ত্র এলাকায় ঢুকছে নির্বাচনকে বানচাল করতে : কাদের মির্জা

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে চার কারণে

ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশের নানা উদ্যোগ

বাকিবিল্লাহ |

image

জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও গত বছর (২০২০) সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তথ্যে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহাসড়কে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৩০টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪৩৮ জন। আর আহত হয়েছে ১৮১৮ জন। দুর্ঘটনার মধ্যে বাস ও ট্রাক বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

২০২০ সালে জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহাসড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭৯১টি। এতে মারা গেছেন ১৫৮৭ জন। আর আহত হয়েছে ২০০৭ জন। এরমধ্যে ট্রাক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫৬১টি। আর বাস দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪৩৬টি। মাইক্রোবাস ১১৯টি, প্রাইভেটকার ও জিপ ১১২টি, মোটরসাইকেল ৪৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ৩৫৪টি, বেবি টেক্সি ১৯টি, রিকশাভ্যান ৬৮টি।

গত বছর ৪টি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। কারণগুলোর মধ্যে ১. পেছন থেকে যানবাহনকে ধাক্কা, ২. বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, ৩. দুটি যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ৪. নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাকবলে পড়া।

হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে বছরের শুরুতে নতুন করে পরিকল্পনা করেছেন। এজন্য বেপরোয়া গতির যানবাহন চিহ্নিত, ড্রাইভার ও হেলপারকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও মদ্যপানরত অবস্থায় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, সড়কে ব্ল্যাক স্পটগুলো শনাক্ত, খানাখন্দ চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালে মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ার কারণে। আর অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে। এ দুর্ঘটনার সংখ্যা ৭৩৮টি।

জানা গেছে, পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ার কারণে গত বছর ৭৯৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানোর কারণে ৪৯০টি দুর্ঘটনা ঘটছে। ২৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ২২৪টি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। আর গভীর রাতে মহাসড়কে এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড দেয়ার পর অনেক সময় চালকরা দুর্ঘটনাকবলিত স্থানগুলোতে ঘন কুয়াশার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

মহাসড়কে অবৈধ বা নিষিদ্ধ যানবাহন, নসিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি হুইলার, অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার পরও এখনও চলাচল করছে। এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পর অনেকেই আইন অমান্য করে মহাসড়কে চালাতে গেলে বেপরোয়া গতির যানবাহনের সামনে পড়ে পেছন থেকে ধাক্কা বা মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রী মারা যাচ্ছে।

হাইওয়ে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, দেশে জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৮১৩ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ২শ’ ৪৭ কিলোমিটার। অন্যান্য সড়ক ১৩ হাজার ২৪২ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সারাদেশে প্রায় ২১ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার সড়ক ও মহাসড়ক রয়েছে।

সচেতনতামূলক উদ্যোগগুলোর মধ্যে যানবাহনের ড্রাইভার, হেলপার এমনকি বাসের মালিকদের উপস্থিতিতে আচরণগত শিক্ষাসহ নানা ধরনের সচেতনতামূলত গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে ১২০টির বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আর বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচল ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশ নিরাপদ ডিটেক্টর মেশিন নিয়ে তা চিহ্নিত করে প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। রাতে যানবাহন চালাতে গিয়ে কেউ মদ্যপান করছে কিনা তাও চিহ্নিত করার জন্য চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে। চালক ও হেলপাররা যাত্রীদের সঙ্গে যাতে খারাপ আচরণ না করে সেজন্য চালক ও হেলপারকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে।

মানবিক হাইওয়ে পুলিশ হিসেবে দুর্ঘটনার পর আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যারা মহাসড়কে পেট্রোল ডিউটি করে তাদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মুজিবর্ষ উপলক্ষে মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকতা সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কের দুই পার্শে্ব অবৈধ ৪৪১টি হাট-বাজর অপসারণ, মহাসড়কের ১৯১টি খানাখন্দ চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি ও ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর ইতোমধ্যে ড্রাইভার ও হেলপারদের নিয়ে ৭৮৮টি সচেতনতামূলক মিটিং করা হয়েছে। এভাবে মহাসড়ককে নিরাপদ করতে যা কিছু দরকার হাইওয়ে পুলিশ সবই করবে বলে জানান। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। নতুন করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজও চলছে।