পিকে হালদারের ৫ সহযোগী দুদকে হাজির হয়নি

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও হাজির হননি পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ৫ ব্যক্তি। এসব ব্যক্তিরা দুদককে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। আজ হাজির হওয়ার কথা আরও দু’জনের।

দুদক সূত্র জানায়, ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনসহ ৭ জনকে। গত ১১ জানুয়ারি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুর আলামিন, ১২ জানুয়ারি ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লি.-এর মালিক নওশের উল ইসলাম, মমতাজ বেগম, সনজিব কুমার হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়নি নোটিশ পেয়েও। আজ জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বাসুদেব ব্যানার্জী এবং পাপিয়া ব্যানার্জীকে। বাসুদেব ও পাপিয়া ব্যানার্জীর আজ হাজির হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বাসুদেব ও পাপিয়া যদি আজ দুদকে হাজির না হন পুনরায় তাদের তলব করে নোটিশ পাঠানো হবে। দুদকের নোটিশে হাজির না হলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা পিকের সহযোগি ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লি.-এর মালিক নওশেরুল ইসলাম, বাসুদেব ব্যানার্জী মমতাজ বেগম এবং পাপিয়া বানার্জীর একাউন্টের ৯৬২ কোটি টাকা দুদক ফ্রিজ করেছে। গত বছর যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল সেখানে দুদক ইতোমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে এবং তা জব্দ অবস্থায় আছে।

দুদক সূত্র জানায়, পিকে হালদার সংশ্লিষ্টতায় গত ১০ জানুয়ারি আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এ নোটিশ পাঠান। যাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি. এর সিইও ওএমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সার। আগামী ১৪ জানুয়ারি তাদের প্রত্যেককে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, নওশেরুল ইসলাম ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে (২০১৫-২০১৯) এ কয়েক বছরে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ২ হাজার ৪৩২ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ৯৫২ কোটি টাকা। মমতাজ বেগম ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে কয়েক বছরে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৪ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ২.৫ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ২.৬৯ কোটি টাকা। বাসুদেব ব্যানার্জী ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৭৬৪ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ৪৬২ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ৪.৬৪ কোটি টাকা।

আরও খবর
মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে চার কারণে
সত্য প্রচারে সবাইকে অনলাইন একটিভিস্ট গ্রুপ গড়তে হবে কাদের
টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
আ’লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দুই প্রতিশ্রুতি
চার রুটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইট বন্ধ
হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ঢাবি প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ
রংপুরে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে
বাবু নগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ পিবিআইর
কুতুবছড়ি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক খালে : নিহত ৩
এমপি নিজাম ও একরামের অস্ত্র এলাকায় ঢুকছে নির্বাচনকে বানচাল করতে : কাদের মির্জা

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পিকে হালদারের ৫ সহযোগী দুদকে হাজির হয়নি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও হাজির হননি পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ৫ ব্যক্তি। এসব ব্যক্তিরা দুদককে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। আজ হাজির হওয়ার কথা আরও দু’জনের।

দুদক সূত্র জানায়, ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল পিপলস লিজিং-এর সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনসহ ৭ জনকে। গত ১১ জানুয়ারি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুর আলামিন, ১২ জানুয়ারি ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লি.-এর মালিক নওশের উল ইসলাম, মমতাজ বেগম, সনজিব কুমার হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়নি নোটিশ পেয়েও। আজ জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বাসুদেব ব্যানার্জী এবং পাপিয়া ব্যানার্জীকে। বাসুদেব ও পাপিয়া ব্যানার্জীর আজ হাজির হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বাসুদেব ও পাপিয়া যদি আজ দুদকে হাজির না হন পুনরায় তাদের তলব করে নোটিশ পাঠানো হবে। দুদকের নোটিশে হাজির না হলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা পিকের সহযোগি ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লি.-এর মালিক নওশেরুল ইসলাম, বাসুদেব ব্যানার্জী মমতাজ বেগম এবং পাপিয়া বানার্জীর একাউন্টের ৯৬২ কোটি টাকা দুদক ফ্রিজ করেছে। গত বছর যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল সেখানে দুদক ইতোমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে এবং তা জব্দ অবস্থায় আছে।

দুদক সূত্র জানায়, পিকে হালদার সংশ্লিষ্টতায় গত ১০ জানুয়ারি আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এ নোটিশ পাঠান। যাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি. এর সিইও ওএমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার এবং হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদা কায়সার। আগামী ১৪ জানুয়ারি তাদের প্রত্যেককে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, নওশেরুল ইসলাম ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে (২০১৫-২০১৯) এ কয়েক বছরে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ২ হাজার ৪৩২ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ৯৫২ কোটি টাকা। মমতাজ বেগম ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে কয়েক বছরে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৪ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ২.৫ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ২.৬৯ কোটি টাকা। বাসুদেব ব্যানার্জী ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে তার একাধিক হিসাবে জমা করেছে ৭৬৪ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ৪৬২ কোটি ও তাদের হিসাবে দুদক ফ্রিজ করেছে ৪.৬৪ কোটি টাকা।