হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ঢাবি প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণ, করোনাকালীন বেতন-ফি মওকুফ করা এবং টিএসসির বর্তমান অবকাঠামো না ভাঙা- এ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। গতকাল বেলা বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে (ভিসি চত্বর) এ কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কুশপুত্তলিকার গায়ে লেখা ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন’। জোটের সমন্বয়ক সোহাইল আহমেদ শুভর সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সাদেকুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদসহ জোটের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একটি প্রতিবাদ মিছিল টিএসসি থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনার এই সময়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে পরীক্ষা নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক। এই অথর্ব প্রশাসনকে আমরা ধিক্কার জানাই। করোনাকালীন অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এটি তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, করোনাকালীন সব বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আধুনিকতার নামে টিএসসিকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে তারা টিএসসির জনপরিসরকে সংকুচিত করে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। মতবিনিময় ও চর্চার জায়গাগুলোকে ধ্বংস করতে চায়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন- শিক্ষার্থীদের এই ৩ দফা মেনে নিয়ে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হোন। না হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের দাবিতে এবং টিএসসি’র অস্তিত্ব-ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুলবে।

image

হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে গতকাল ঢাবিতে প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট -সংবাদ

আরও খবর
মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে চার কারণে
সত্য প্রচারে সবাইকে অনলাইন একটিভিস্ট গ্রুপ গড়তে হবে কাদের
টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
আ’লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দুই প্রতিশ্রুতি
চার রুটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইট বন্ধ
পিকে হালদারের ৫ সহযোগী দুদকে হাজির হয়নি
রংপুরে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে পচা পিয়াজ কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে
বাবু নগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ পিবিআইর
কুতুবছড়ি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক খালে : নিহত ৩
এমপি নিজাম ও একরামের অস্ত্র এলাকায় ঢুকছে নির্বাচনকে বানচাল করতে : কাদের মির্জা

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ঢাবি প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে গতকাল ঢাবিতে প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট -সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণ, করোনাকালীন বেতন-ফি মওকুফ করা এবং টিএসসির বর্তমান অবকাঠামো না ভাঙা- এ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। গতকাল বেলা বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে (ভিসি চত্বর) এ কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কুশপুত্তলিকার গায়ে লেখা ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন’। জোটের সমন্বয়ক সোহাইল আহমেদ শুভর সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সাদেকুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদসহ জোটের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একটি প্রতিবাদ মিছিল টিএসসি থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনার এই সময়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে পরীক্ষা নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক। এই অথর্ব প্রশাসনকে আমরা ধিক্কার জানাই। করোনাকালীন অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এটি তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, করোনাকালীন সব বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আধুনিকতার নামে টিএসসিকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে তারা টিএসসির জনপরিসরকে সংকুচিত করে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। মতবিনিময় ও চর্চার জায়গাগুলোকে ধ্বংস করতে চায়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন- শিক্ষার্থীদের এই ৩ দফা মেনে নিয়ে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হোন। না হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের দাবিতে এবং টিএসসি’র অস্তিত্ব-ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুলবে।