হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ সফীর মৃত্যুর ঘটনায় করা পরিবারের মামলায় সংগঠনটির বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ সুপার ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) এবং ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় গিয়ে অন্তত ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পিবিআই কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনাইদ বাবুনগরীসহ ১৫ জনের সঙ্গে এবং বাবুনগর মাদ্রাসায় আরও ১২ জনের সঙ্গে তারা ‘কথা বলেছেন’। তিনি বলেন, আদালতে পেশ করা আর্জির ধারাবাহিক অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়েছে। আলামত সংগ্রহের মতো কিছু নেই। মামলার তদন্তের নিয়ম অনুযায়ী পিও ভিজিট (ঘটনাস্থল পরিদর্শন), আলামত জব্দ, সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া, প্রকাশ্যে-গোপনে তদন্ত করা এসব একটা সিস্টেমে চলবে।
কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেয়া হতে পারে- প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার ইকবাল বলেন, আদালতের বেধে দেয়া এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করব। যদি পারা না যায়, আমরা সময় প্রার্থনা করব। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, যে আর্জি করা হয়েছে সেখানে লাশ তোলার মতো কিছু নেই। অবহেলাজনিত মৃত্যু ৩০৪ ধারায় মামলা, সেখানে দেহে আঘাত থাকার মতো কিছু নেই। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাটহাজারী মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আহমদ সফী। মৃত্যুর আগের দিন তুমুল হট্টগোলের মধ্যে সফী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন, তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানিকেও বরখাস্ত করা হয়। সফীর মৃত্যুর দিন আনাস মাদানি ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগের দিনের ‘অনাকাক্সিক্ষত’ ঘটনার কারণে ‘টেনশনের’ কারণে ‘হার্টফেইল’ করে তার বাবা মারা গেছেন। হেফাজতের মধ্যে বিবাদের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর সফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আহমদ সফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা মো. নাসির মুনিরকে। আর দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার জন্য আলোচনায় আসা হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর নামও রয়েছে আসামির তালিকায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন।
বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ সফীর মৃত্যুর ঘটনায় করা পরিবারের মামলায় সংগঠনটির বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ সুপার ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) এবং ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় গিয়ে অন্তত ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পিবিআই কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনাইদ বাবুনগরীসহ ১৫ জনের সঙ্গে এবং বাবুনগর মাদ্রাসায় আরও ১২ জনের সঙ্গে তারা ‘কথা বলেছেন’। তিনি বলেন, আদালতে পেশ করা আর্জির ধারাবাহিক অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়েছে। আলামত সংগ্রহের মতো কিছু নেই। মামলার তদন্তের নিয়ম অনুযায়ী পিও ভিজিট (ঘটনাস্থল পরিদর্শন), আলামত জব্দ, সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া, প্রকাশ্যে-গোপনে তদন্ত করা এসব একটা সিস্টেমে চলবে।
কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেয়া হতে পারে- প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার ইকবাল বলেন, আদালতের বেধে দেয়া এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করব। যদি পারা না যায়, আমরা সময় প্রার্থনা করব। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, যে আর্জি করা হয়েছে সেখানে লাশ তোলার মতো কিছু নেই। অবহেলাজনিত মৃত্যু ৩০৪ ধারায় মামলা, সেখানে দেহে আঘাত থাকার মতো কিছু নেই। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাটহাজারী মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আহমদ সফী। মৃত্যুর আগের দিন তুমুল হট্টগোলের মধ্যে সফী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন, তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানিকেও বরখাস্ত করা হয়। সফীর মৃত্যুর দিন আনাস মাদানি ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগের দিনের ‘অনাকাক্সিক্ষত’ ঘটনার কারণে ‘টেনশনের’ কারণে ‘হার্টফেইল’ করে তার বাবা মারা গেছেন। হেফাজতের মধ্যে বিবাদের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর সফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আহমদ সফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা মো. নাসির মুনিরকে। আর দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার জন্য আলোচনায় আসা হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর নামও রয়েছে আসামির তালিকায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন।