বড় পতনেও বেড়েছে লেনদেন

টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় শত পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক আড়াই শত পয়েন্ট কমেছে। তবে গতকাল ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২১ শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯১.০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২১.০৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫.১০ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১.৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩০১.৬৩ পয়েন্টে, ২১৫৯.৮৮ পয়েন্টে এবং ১২৩৩.৮৪ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৬টির বা ১৫.৫৯ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৪৮টির বা ৬৯.০৮ শতাংশের এবং ৫৫টির বা ১৫.৩২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৯.০৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৪০.৪৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৮২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৮টির আর ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির পৌনে ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার ৪৯ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ম্যারিকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের।

এছাড়া আমান ফিডের ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৭১ লাখ ৪ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৩০ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১৭ লাখ ১১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ফার্মা এইডসের ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, রবির ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ কোটি ১০ লাখ টাকার এবং সোনালী পেপারের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া ২০ খাতের মধ্যে ২ খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। খাত দুটি হলো : সিমেন্ট এবং পাট খাত। এরমধ্যে সিমেন্ট খাতে ৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪.১০ টাকা কমেছে লাফার্জহোলসিমের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৭০ টাকা কনফিডেন্স সিমেন্টের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.৪০ টাকা কমেছে প্রিমিয়ার সিমেন্টের। পাট খাতের তিন কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৯ টাকা কমেছে সোনালী আঁশের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮০ টাকা নর্দার্ন জুটের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ০.৩০ টাকা কমেছে জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বড় পতনেও বেড়েছে লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় শত পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক আড়াই শত পয়েন্ট কমেছে। তবে গতকাল ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২১ শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯১.০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২১.০৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫.১০ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১.৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩০১.৬৩ পয়েন্টে, ২১৫৯.৮৮ পয়েন্টে এবং ১২৩৩.৮৪ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৬টির বা ১৫.৫৯ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৪৮টির বা ৬৯.০৮ শতাংশের এবং ৫৫টির বা ১৫.৩২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৯.০৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৪০.৪৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৮২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৮টির আর ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির পৌনে ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার ৪৯ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ম্যারিকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের।

এছাড়া আমান ফিডের ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৭১ লাখ ৪ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৩০ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১৭ লাখ ১১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ফার্মা এইডসের ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, রবির ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ কোটি ১০ লাখ টাকার এবং সোনালী পেপারের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া ২০ খাতের মধ্যে ২ খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। খাত দুটি হলো : সিমেন্ট এবং পাট খাত। এরমধ্যে সিমেন্ট খাতে ৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪.১০ টাকা কমেছে লাফার্জহোলসিমের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৭০ টাকা কনফিডেন্স সিমেন্টের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.৪০ টাকা কমেছে প্রিমিয়ার সিমেন্টের। পাট খাতের তিন কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৯ টাকা কমেছে সোনালী আঁশের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮০ টাকা নর্দার্ন জুটের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ০.৩০ টাকা কমেছে জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর।