ক্ষতিকর রঙ দিয়ে চকলেট ও ললিপপ তৈরি, গ্রেফতার ৫

অনুমোদন ছাড়াই কারখানায় ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে চকলেট-ললিপপ বানানোর অভিযোগে পুরান ঢাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল কামালবাগের সোবেল লজেন্স ফ্যাক্টরি নামের একটি কারাখানায় অভিযান চালিয়ে এর মালিক সোহেল ব্যাপারী এবং কর্মচারী জাহের দফাদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাশেই আবির, কবির ও সহিদ লজেন্স নামে তিনটি কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে আবদুস সালাম, তারেক ও ইয়াসিন নামে তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, এসব কারখানায় চকলেট, কদমা, ললিপপ তৈরির কাজে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙ, হাইড্রোজ ও মোম ব্যবহার করা হত, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ভেজাল চকলেটের কালার, হাইড্রোজ, গলিত মম, পেরাছিন, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেবার, গ্লুকোজ, গ্রিন রং, চকবার ফ্লেবার, কমলা কালার রং ব্যবহারের মাধ্যমে চকলেট প্রস্তুত করে, যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিএসটিআই-এর পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, এসব কারখানার কোন অনুমোদনও ছিল না। তাছাড়া যেসব উপাদান সেখানে ব্যবহার করা হতো, তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। গ্রেফতার ৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ক্ষতিকর রঙ দিয়ে চকলেট ও ললিপপ তৈরি, গ্রেফতার ৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অনুমোদন ছাড়াই কারখানায় ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে চকলেট-ললিপপ বানানোর অভিযোগে পুরান ঢাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল কামালবাগের সোবেল লজেন্স ফ্যাক্টরি নামের একটি কারাখানায় অভিযান চালিয়ে এর মালিক সোহেল ব্যাপারী এবং কর্মচারী জাহের দফাদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাশেই আবির, কবির ও সহিদ লজেন্স নামে তিনটি কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে আবদুস সালাম, তারেক ও ইয়াসিন নামে তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, এসব কারখানায় চকলেট, কদমা, ললিপপ তৈরির কাজে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙ, হাইড্রোজ ও মোম ব্যবহার করা হত, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ভেজাল চকলেটের কালার, হাইড্রোজ, গলিত মম, পেরাছিন, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেবার, গ্লুকোজ, গ্রিন রং, চকবার ফ্লেবার, কমলা কালার রং ব্যবহারের মাধ্যমে চকলেট প্রস্তুত করে, যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিএসটিআই-এর পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, এসব কারখানার কোন অনুমোদনও ছিল না। তাছাড়া যেসব উপাদান সেখানে ব্যবহার করা হতো, তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। গ্রেফতার ৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।