নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পুলিশের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৭টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে এক কাউন্সিলর প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্ধী কাউন্সিলর প্রার্থীর শ^শুড়ের দুটি টেক্সটাইল কারখানাসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৬৫ জন আহত হয়েছে। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তারাব পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি তারাব পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করতে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাকিন বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রহুল আমিন ফরাজী তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ তুলেন। সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রহুল আমিন ফরাজীর সমর্থকরা এলাকায় উট পাখি মার্কার মিছিল নিয়ে বের হয়। অন্যদিকে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা ডালিম মার্কার মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের লোকজন এসে অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন ফরাজীর শ^শুড় মৃত কিবরিয়ার তানভীর টেক্সটাইল ও চাচা শ^শুড় আবদুল রউফের আবির টেক্সটাইলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় কারখানার ভেতরে থাকা ৫টি প্রাইভেটকার, ৬টি মোটরসাইকেল, ২টি পিকআপ ভাঙচুর করে। একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহত নাহিদ, মোহন, তানভীর, নূরে আলম, খোরশেদ, মারুফ, যোবায়ের, ফজরআলী, মোফাচ্ছেল, নূরআলম, শহীদুল, আরমান, আঞ্জু বেগম, মোহাম্মদ আলী, রায়হান, ওমর ফারুক, শফিকুল ইসলাম, জয়নাল, সাদেক রহমান, মতিন, মিজান, তুহিন, সামসু, আরমান, জাহাঙ্গীর, জনি, আবু বক্করকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬ জনকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পুলিশের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৭টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে এক কাউন্সিলর প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্ধী কাউন্সিলর প্রার্থীর শ^শুড়ের দুটি টেক্সটাইল কারখানাসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৬৫ জন আহত হয়েছে। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তারাব পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি তারাব পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করতে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাকিন বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রহুল আমিন ফরাজী তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ তুলেন। সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রহুল আমিন ফরাজীর সমর্থকরা এলাকায় উট পাখি মার্কার মিছিল নিয়ে বের হয়। অন্যদিকে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা ডালিম মার্কার মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের লোকজন এসে অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন ফরাজীর শ^শুড় মৃত কিবরিয়ার তানভীর টেক্সটাইল ও চাচা শ^শুড় আবদুল রউফের আবির টেক্সটাইলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় কারখানার ভেতরে থাকা ৫টি প্রাইভেটকার, ৬টি মোটরসাইকেল, ২টি পিকআপ ভাঙচুর করে। একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহত নাহিদ, মোহন, তানভীর, নূরে আলম, খোরশেদ, মারুফ, যোবায়ের, ফজরআলী, মোফাচ্ছেল, নূরআলম, শহীদুল, আরমান, আঞ্জু বেগম, মোহাম্মদ আলী, রায়হান, ওমর ফারুক, শফিকুল ইসলাম, জয়নাল, সাদেক রহমান, মতিন, মিজান, তুহিন, সামসু, আরমান, জাহাঙ্গীর, জনি, আবু বক্করকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬ জনকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।