কুয়েত মন্ত্রিসভার একযোগে পদত্যাগ

একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েতের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহর কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন। ডয়চে ভেলে

কিছুদিন ধরেই কুয়েতের পার্লামেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার প্রস্তাব জমা পড়ে। তারপরেই মন্ত্রিসভা সসদ্যরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটার বার্তায় করে এ গণপদত্যাগের খবর জানানো হয়েছে।

এদিকে, সরকারি সংবাদ সংস্থা কুনা জানিয়েছে- প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদ জাবের আল সাবাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিই সব মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং পদত্যাগপত্র তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার যে প্রস্তাব জমা পড়েছে, ৩০ জন সদস্য তা সমর্থন করেছেন। এই পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তার মধ্যে ভোটের ফলাফলের কোনো প্রতিফলন নেই। স্পিকার এবং বিভিন্ন কমিটির গঠন নিয়েও সরকার অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে সংবাদ সংস্থা এপিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল ইউসেফ জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার চাইছেন। কারণ, সরকার পুরনো কিছু মুখকেই বারবার দায়িত্ব দিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় এই ধরনের ‘ডেডলক’ হবেই। মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েতই প্রথম দেশ যারা ১৯৬৩ সালে পার্লামেন্ট গঠন করে।

গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে। তবে পার্লামেন্ট গঠিত হলেও আসল ক্ষমতা আল সাবাহ পরিবার ও আমিরের হাতেই আছে। তারাই সরকার নিয়োগ করে থাকেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কুয়েত মন্ত্রিসভার একযোগে পদত্যাগ

একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েতের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহর কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন। ডয়চে ভেলে

কিছুদিন ধরেই কুয়েতের পার্লামেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার প্রস্তাব জমা পড়ে। তারপরেই মন্ত্রিসভা সসদ্যরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটার বার্তায় করে এ গণপদত্যাগের খবর জানানো হয়েছে।

এদিকে, সরকারি সংবাদ সংস্থা কুনা জানিয়েছে- প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদ জাবের আল সাবাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিই সব মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং পদত্যাগপত্র তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার যে প্রস্তাব জমা পড়েছে, ৩০ জন সদস্য তা সমর্থন করেছেন। এই পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তার মধ্যে ভোটের ফলাফলের কোনো প্রতিফলন নেই। স্পিকার এবং বিভিন্ন কমিটির গঠন নিয়েও সরকার অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে সংবাদ সংস্থা এপিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল ইউসেফ জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার চাইছেন। কারণ, সরকার পুরনো কিছু মুখকেই বারবার দায়িত্ব দিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় এই ধরনের ‘ডেডলক’ হবেই। মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েতই প্রথম দেশ যারা ১৯৬৩ সালে পার্লামেন্ট গঠন করে।

গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে। তবে পার্লামেন্ট গঠিত হলেও আসল ক্ষমতা আল সাবাহ পরিবার ও আমিরের হাতেই আছে। তারাই সরকার নিয়োগ করে থাকেন।