মণিরামপুরে যক্ষ্মা রোগী বাড়ছে প্রতি মাসে শনাক্ত শতাধিক

মণিরামপুরে বাড়ছে যক্ষা রোগী। প্রতিমাসে শতাধিক যক্ষা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যক্ষার লক্ষণগুলো কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়। ফলে যক্ষা শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ জরুরী হয়ে পড়েছে। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ব্র্যাক টিভি কন্ট্রোল প্রোগামের তথ্যানুযায়ী গত ছয় মাসে অন্তত ৬শ’ যক্ষা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

ব্র্যাক টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী কর্মকর্তা মি. ওনার বিশ্বাস বলেন, উপজেলার হরিদাশকাটি, খানপুর ও মশ্বিমনগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। অপেক্ষাকৃত অশিক্ষিত, অসচেতন, ঘনবসতিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসরত মানুষের মাঝে এ রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। যক্ষা রোগে আক্রান্ত মোহনপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ ধরে কাঁশি থাকায় যক্ষার পরীক্ষা করাই, পরীক্ষায় আমার যক্ষা রোগ ধরা পড়ে। ব্র্যাক ও হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যাচ্ছি। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, যক্ষা একটি সংক্রামক ব্যাধি।

যক্ষা ও কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ রোগ ছড়ানোর উপায় একই ধরনের। দুটি রোগের ক্ষেত্রেই ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ ধরে কাশি দেখা দিলে অবশ্যই যক্ষার পরীক্ষা করাতে হবে। কাশির সঙ্গে কফ, মাঝেমধ্যে রক্ত বের হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি হলো যক্ষা রোগের প্রধান উপসর্গ। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ রায় বলেন, যক্ষা একটি সংক্রামক ব্যাধি। একজন যক্ষা রোগী থেকে অন্যদের রোগ ছড়াতে পারে। যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, হাসপাতাল, এনজিও, ক্লিনিক ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মণিরামপুরে যক্ষ্মা রোগী বাড়ছে প্রতি মাসে শনাক্ত শতাধিক

প্রতিনিধি, মণিরামপুর (যশোর)

মণিরামপুরে বাড়ছে যক্ষা রোগী। প্রতিমাসে শতাধিক যক্ষা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যক্ষার লক্ষণগুলো কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়। ফলে যক্ষা শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ জরুরী হয়ে পড়েছে। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ব্র্যাক টিভি কন্ট্রোল প্রোগামের তথ্যানুযায়ী গত ছয় মাসে অন্তত ৬শ’ যক্ষা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

ব্র্যাক টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী কর্মকর্তা মি. ওনার বিশ্বাস বলেন, উপজেলার হরিদাশকাটি, খানপুর ও মশ্বিমনগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। অপেক্ষাকৃত অশিক্ষিত, অসচেতন, ঘনবসতিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসরত মানুষের মাঝে এ রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। যক্ষা রোগে আক্রান্ত মোহনপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ ধরে কাঁশি থাকায় যক্ষার পরীক্ষা করাই, পরীক্ষায় আমার যক্ষা রোগ ধরা পড়ে। ব্র্যাক ও হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যাচ্ছি। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, যক্ষা একটি সংক্রামক ব্যাধি।

যক্ষা ও কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ রোগ ছড়ানোর উপায় একই ধরনের। দুটি রোগের ক্ষেত্রেই ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ ধরে কাশি দেখা দিলে অবশ্যই যক্ষার পরীক্ষা করাতে হবে। কাশির সঙ্গে কফ, মাঝেমধ্যে রক্ত বের হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি হলো যক্ষা রোগের প্রধান উপসর্গ। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ রায় বলেন, যক্ষা একটি সংক্রামক ব্যাধি। একজন যক্ষা রোগী থেকে অন্যদের রোগ ছড়াতে পারে। যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, হাসপাতাল, এনজিও, ক্লিনিক ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা দেয়া হয়।