দ্বিতীয়বার অভিশংসিত ট্রাম্প

সিনেটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন কংগ্রেস দ্বিতীয় দফা অভিশংসন করেছে। গত সপ্তাহের ক্যাপিটলের দাঙ্গার ঘটনায় ‘বিদ্রোহে উস্কানি’ দেয়ার কারণে তাকে অভিশংসিত হতে হলো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করা হলো। ১৩ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদে ২৩২-১৯৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির ১০ জন সদস্য তার বিপক্ষে ভোট দিয়ে তাকে অভিশংসিত করেন।

এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে ইউক্রেন কেলেঙ্কারির কারণে কংগ্রেসে ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথম দফা অভিশংসন করা হয়েছিল। তবে সে দফায় সেনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।

এখন এই অভিশংসন প্রস্তাব সিনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প অপরাধী কিনা তা নির্ধারণে শুনানি হবে।

তবে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে সিনেটে। অর্থাৎ অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানকে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ২০ জন রিপাবলিকান সিনেটার ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন বলেন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সিনেটে ট্রাম্পের এই বিচার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের ২০ জানুয়ারি শপথ অনুষ্ঠানের আগে হবে না।

গত নভেম্বরে ভোটের পর হার স্বীকার না করে উল্টো কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালান ট্রাম্প।

তার ধারাবাহিকতায় গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দেয়ার দিনে বিক্ষুব্ধ ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলায় পাঁচজন নিহত হন।

ওই হামলার ঠিক আগেই ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উগ্রতার প্ররোচণা ছিল বলে সব মহল থেকে সমালোচনা উঠে। রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাও এর সমালোচনায় মুখর হন।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে দ্রুততার সঙ্গে অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। ক্ষমতার শেষ সপ্তাহে এসে আবার অভিশংসনের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অভিশংসন প্রস্তাব কংগ্রেসে গৃহীত হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। টুইটার, ফেসবুকসহ সব সামাজিকমাধ্যমে এরমধ্যে নিষিদ্ধ হওয়া ট্রাম্প তার ভিডিও বার্তায় অভিশংসন নিয়ে কোন কথা উচ্চারণ করেননি।

ট্রাম্প বলেছেন, ৬ জানুয়ারি সহিংসতার জন্য দায়ী লোকজনকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে সহিংসতার কোন স্থান নেই। যারা এসব করবে, তারা ‘মেইক অ্যামেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলনের ক্ষতি করবে বলে ট্রাম্প তার ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দ্বিতীয়বার অভিশংসিত ট্রাম্প

সিনেটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে

সংবাদ ডেস্ক |

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন কংগ্রেস দ্বিতীয় দফা অভিশংসন করেছে। গত সপ্তাহের ক্যাপিটলের দাঙ্গার ঘটনায় ‘বিদ্রোহে উস্কানি’ দেয়ার কারণে তাকে অভিশংসিত হতে হলো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করা হলো। ১৩ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদে ২৩২-১৯৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির ১০ জন সদস্য তার বিপক্ষে ভোট দিয়ে তাকে অভিশংসিত করেন।

এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে ইউক্রেন কেলেঙ্কারির কারণে কংগ্রেসে ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথম দফা অভিশংসন করা হয়েছিল। তবে সে দফায় সেনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।

এখন এই অভিশংসন প্রস্তাব সিনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প অপরাধী কিনা তা নির্ধারণে শুনানি হবে।

তবে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে সিনেটে। অর্থাৎ অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানকে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ২০ জন রিপাবলিকান সিনেটার ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন বলেন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সিনেটে ট্রাম্পের এই বিচার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের ২০ জানুয়ারি শপথ অনুষ্ঠানের আগে হবে না।

গত নভেম্বরে ভোটের পর হার স্বীকার না করে উল্টো কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালান ট্রাম্প।

তার ধারাবাহিকতায় গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দেয়ার দিনে বিক্ষুব্ধ ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলায় পাঁচজন নিহত হন।

ওই হামলার ঠিক আগেই ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উগ্রতার প্ররোচণা ছিল বলে সব মহল থেকে সমালোচনা উঠে। রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাও এর সমালোচনায় মুখর হন।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে দ্রুততার সঙ্গে অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। ক্ষমতার শেষ সপ্তাহে এসে আবার অভিশংসনের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অভিশংসন প্রস্তাব কংগ্রেসে গৃহীত হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। টুইটার, ফেসবুকসহ সব সামাজিকমাধ্যমে এরমধ্যে নিষিদ্ধ হওয়া ট্রাম্প তার ভিডিও বার্তায় অভিশংসন নিয়ে কোন কথা উচ্চারণ করেননি।

ট্রাম্প বলেছেন, ৬ জানুয়ারি সহিংসতার জন্য দায়ী লোকজনকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে সহিংসতার কোন স্থান নেই। যারা এসব করবে, তারা ‘মেইক অ্যামেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলনের ক্ষতি করবে বলে ট্রাম্প তার ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।