শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন আয়েশা

আয়েশা সিদ্দিকা। বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল মানুষের বিয়ে পড়াবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াল সমাজ ও সরকার। আদালতের রায়ও তার পক্ষে গেল না। তবুও তিনি দমে যাবেন না। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন নিকাহ রেজিস্ট্রার নারী প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

ফুলবাড়ী পশ্চিম কাঁটাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক মো. সোলায়মানের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ফুলবাড়ীর দারুল সুন্নাহ সিনিয়র সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেন তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৩৯ বছর। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার’-এর জন্য তিনিসহ তিন নারী আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। ওই পদে নারী প্রার্থী হওয়ায় মন্ত্রণালয় আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়।

আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আবেদনগুলো বাতিল হওয়ায় আয়েশা সিদ্দিকা সংক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৪ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট সেই রিট পিটিশনটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি ৯ মার্চ ২০২০ আপিল ডিভিশনে আপিল করেছেন। তার পিটিশন নং-৩৩৭/২০২০।

এ বিষয়ে আয়েশা সিদ্দিকা সংবাদকে বলেন, ‘১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে সাইফুজ্জামান জানান, ‘নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়ে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।’

আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘মহামান্য আদালত যে ব্যাখ্যা দিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেটা সঠিক নয়।’ তাই তিনি এ ক্ষেত্রে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে নারীবাদি সংগঠনগুলোকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আয়েশা বলছেন, ‘২০০৯ সালে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিধিমালায় কোথাও বলা হয়নি যে, কেবল পুরুষই নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে। সেখানে যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, তার সবগুলোই তার আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানেই নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমি মনে করি, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একজন নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

নিকাহ রেজিস্ট্রার কোন সরকারি পদ নয়। একটি এলাকার জন্য একজন কাজী বা নিবন্ধক থাকেন, যিনি সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বিয়ে নিবন্ধনের কাজটি করেন। নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে গেলে কী যোগ্যতা থাকতে হবে, ২০০৯ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিধিমালায় সে বিষয়ে বলা আছে। সেখানে শর্ত দেয়া হয়েছে, একজন প্রার্থীকে স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধিত মাদ্রাসা থেকে কমপক্ষে আলিম পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তিনি যে এলাকার কাজী বা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে চান, সেখানকার বাসিন্দা হতে হবে। আয়েশা সিদ্দিকা এই তিন শর্তের সবগুলো পূরণ করার পরও কেন তার আবেদনে সাড়া দেয়া হয়নি?

২০১৪ সালে আয়েশার লাইসেন্সের আবেদন খারিজ করে দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’ এরপর ওই বছরই সেকেন্দার আলী নামের একজনকে ফুলবাড়ী পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স দেয়া হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আয়েশা হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেছিল। কিন্তু গত বছর সেই রুল খারিজ হয়ে গেলে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘প্রাথমিকভাবে দু’জন মুসলিম যুগলের মধ্যে বিয়ে পড়ানোই একজন নিকাহ নিবন্ধকের কাজ, যা মূলত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। শহরাঞ্চলে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান না থাকায় সম্প্রতি মসজিদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, শারীরিক কিছু পরিস্থিতির কারণে একজন নারীর পক্ষে মাসের কোন একটা সময় মসজিদে যাওয়া সম্ভব হয় না। ওই সময় একজন নারী বাধ্যতামূলক দৈনন্দিন প্রার্থনা থেকেও বিরত থাকেন। শারীরিক এই অযোগ্যতা ধর্মীয় অনেক কার্যক্রম করতে তাকে অনুমতি দেয় না। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিয়ে মুসলমানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ীই হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘পিরিয়ড কোন অযোগ্যতা হতে পারে না। এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। যুক্তিগুলো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমি মনে করি উচ্চ আদালত এ রায় পুনর্বিবেচনা করবে।’

তার যুক্তি, একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ হলো বিয়ে নিবন্ধন করা। তাকেই বিয়ে পড়াতে হবে এমন নয়। এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, এ রকম যে কোন মুসলমান বিয়ে পড়াতে পারেন? আর রেজিস্ট্রার সাক্ষীদের সইসহ সেই বিয়ে আইনসম্মতভাবে নিবন্ধন করে দেন।

‘মেয়েদের নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধর্মীয় বাধাও নেই। একটি নিকাহনামায় বরের স্বাক্ষর, কনের স্বাক্ষর, বরের উকিলের স্বাক্ষর, কনের উকিলের স্বাক্ষর, ইমামের স্বাক্ষর, নিকাহ রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরের আলাদা আলাদা ঘর আছে। তাহলে একজন নারী কেন নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না?’

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন আয়েশা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

আয়েশা সিদ্দিকা। বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল মানুষের বিয়ে পড়াবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াল সমাজ ও সরকার। আদালতের রায়ও তার পক্ষে গেল না। তবুও তিনি দমে যাবেন না। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন নিকাহ রেজিস্ট্রার নারী প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

ফুলবাড়ী পশ্চিম কাঁটাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক মো. সোলায়মানের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ফুলবাড়ীর দারুল সুন্নাহ সিনিয়র সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেন তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৩৯ বছর। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার’-এর জন্য তিনিসহ তিন নারী আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। ওই পদে নারী প্রার্থী হওয়ায় মন্ত্রণালয় আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়।

আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আবেদনগুলো বাতিল হওয়ায় আয়েশা সিদ্দিকা সংক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৪ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট সেই রিট পিটিশনটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি ৯ মার্চ ২০২০ আপিল ডিভিশনে আপিল করেছেন। তার পিটিশন নং-৩৩৭/২০২০।

এ বিষয়ে আয়েশা সিদ্দিকা সংবাদকে বলেন, ‘১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে সাইফুজ্জামান জানান, ‘নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়ে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।’

আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘মহামান্য আদালত যে ব্যাখ্যা দিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেটা সঠিক নয়।’ তাই তিনি এ ক্ষেত্রে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে নারীবাদি সংগঠনগুলোকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আয়েশা বলছেন, ‘২০০৯ সালে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিধিমালায় কোথাও বলা হয়নি যে, কেবল পুরুষই নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে। সেখানে যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, তার সবগুলোই তার আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানেই নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমি মনে করি, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একজন নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

নিকাহ রেজিস্ট্রার কোন সরকারি পদ নয়। একটি এলাকার জন্য একজন কাজী বা নিবন্ধক থাকেন, যিনি সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বিয়ে নিবন্ধনের কাজটি করেন। নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে গেলে কী যোগ্যতা থাকতে হবে, ২০০৯ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিধিমালায় সে বিষয়ে বলা আছে। সেখানে শর্ত দেয়া হয়েছে, একজন প্রার্থীকে স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধিত মাদ্রাসা থেকে কমপক্ষে আলিম পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তিনি যে এলাকার কাজী বা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে চান, সেখানকার বাসিন্দা হতে হবে। আয়েশা সিদ্দিকা এই তিন শর্তের সবগুলো পূরণ করার পরও কেন তার আবেদনে সাড়া দেয়া হয়নি?

২০১৪ সালে আয়েশার লাইসেন্সের আবেদন খারিজ করে দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’ এরপর ওই বছরই সেকেন্দার আলী নামের একজনকে ফুলবাড়ী পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স দেয়া হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আয়েশা হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেছিল। কিন্তু গত বছর সেই রুল খারিজ হয়ে গেলে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘প্রাথমিকভাবে দু’জন মুসলিম যুগলের মধ্যে বিয়ে পড়ানোই একজন নিকাহ নিবন্ধকের কাজ, যা মূলত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। শহরাঞ্চলে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান না থাকায় সম্প্রতি মসজিদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, শারীরিক কিছু পরিস্থিতির কারণে একজন নারীর পক্ষে মাসের কোন একটা সময় মসজিদে যাওয়া সম্ভব হয় না। ওই সময় একজন নারী বাধ্যতামূলক দৈনন্দিন প্রার্থনা থেকেও বিরত থাকেন। শারীরিক এই অযোগ্যতা ধর্মীয় অনেক কার্যক্রম করতে তাকে অনুমতি দেয় না। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিয়ে মুসলমানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ীই হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘পিরিয়ড কোন অযোগ্যতা হতে পারে না। এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। যুক্তিগুলো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমি মনে করি উচ্চ আদালত এ রায় পুনর্বিবেচনা করবে।’

তার যুক্তি, একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ হলো বিয়ে নিবন্ধন করা। তাকেই বিয়ে পড়াতে হবে এমন নয়। এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, এ রকম যে কোন মুসলমান বিয়ে পড়াতে পারেন? আর রেজিস্ট্রার সাক্ষীদের সইসহ সেই বিয়ে আইনসম্মতভাবে নিবন্ধন করে দেন।

‘মেয়েদের নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধর্মীয় বাধাও নেই। একটি নিকাহনামায় বরের স্বাক্ষর, কনের স্বাক্ষর, বরের উকিলের স্বাক্ষর, কনের উকিলের স্বাক্ষর, ইমামের স্বাক্ষর, নিকাহ রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরের আলাদা আলাদা ঘর আছে। তাহলে একজন নারী কেন নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না?’