জয়পুরহাটে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে একজনের ৪০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামির ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. রুস্তম আলী এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. মাসুদ রানা (৩৬)। সে জয়পুরহাট জেলার হরিপুর গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে। আসামি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে পাটক্ষেতে গেলে চাচা মাসুদ রানা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চিৎকারে স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে গেলে আসামি পালিয়ে যায়। স্বাক্ষীরা কিশোরীকে বস্ত্রবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ওই কিশোরী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে আত্মহত্যার উদ্দেশে ২ জুলাই বিকেল ৪টায় কীটনাশক পান করে। তার বাবা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত ৮.৫৫ মিনিটে সে মারা যায়। কিশোরীর বাবা ৩ জুলাই এ ঘটনায় জয়পুরহাট থানায় মামলা করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরই ১৮ নভেম্বর আসামি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ও ৯(ক) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারকালে এ মামলায় ৭ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত আসামি মাসুদ রানাকে ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৯(ক) ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। জরিমানার টাকা আদায় হলে ওই টাকা খাদিজার বাবা-মাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারক রায়ে আরও উল্লেখ করেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের জন্য ৩০ বছর ৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং টাকা অনাদায় হইলে আরও ২ বছর মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড আসামি ভোগ করবে।
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে একজনের ৪০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামির ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. রুস্তম আলী এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. মাসুদ রানা (৩৬)। সে জয়পুরহাট জেলার হরিপুর গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে। আসামি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে পাটক্ষেতে গেলে চাচা মাসুদ রানা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চিৎকারে স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে গেলে আসামি পালিয়ে যায়। স্বাক্ষীরা কিশোরীকে বস্ত্রবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ওই কিশোরী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে আত্মহত্যার উদ্দেশে ২ জুলাই বিকেল ৪টায় কীটনাশক পান করে। তার বাবা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত ৮.৫৫ মিনিটে সে মারা যায়। কিশোরীর বাবা ৩ জুলাই এ ঘটনায় জয়পুরহাট থানায় মামলা করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরই ১৮ নভেম্বর আসামি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ও ৯(ক) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারকালে এ মামলায় ৭ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত আসামি মাসুদ রানাকে ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৯(ক) ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। জরিমানার টাকা আদায় হলে ওই টাকা খাদিজার বাবা-মাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারক রায়ে আরও উল্লেখ করেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের জন্য ৩০ বছর ৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং টাকা অনাদায় হইলে আরও ২ বছর মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড আসামি ভোগ করবে।