নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার বন্ধ করুন

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নদী ও খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। জঙ্গলে রাতের আঁধারে ও লুকিয়ে শিকার করা হচ্ছে মাছ। এক্ষেত্রে ঘুষ নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

গত এক যুগের বেশি সময় ধরে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ। বিষের কারণে জলজ প্রাণীর প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। অভ্যন্তরীণ মৎস্য ভান্ডার শূন্য হচ্ছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর মানুষ খাচ্ছে বিষাক্ত মাছ।

মূলত বন বিভাগের উদাসীনতার কারণেই অপরাধ দমন করা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দাদন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলেদের দিয়ে এ কাজ করাচ্ছেন। এই চক্র প্রতি মাসে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

প্রশ্ন হলো, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কেন দুষ্কর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এসব অসাধু চক্রের খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বন বিভাগ মাঝে-মধ্যে দুষ্কর্মকারীদের আটকও করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পরই তারা জামিন পেয়ে যান। আবার একই অপরাধ করেন।

অসঙ্গতি দূর করতে হলে প্রথমেই আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। অভিযুক্তদের কেউ যেন সহজে পার পেয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বন বিভাগের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চুনোপুঁটি নয়, রাঘববোয়াল ধরতে হবে। অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা দরকার। যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনিয়মে সহযোগিতা করছেন তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার বন্ধ করুন

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নদী ও খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। জঙ্গলে রাতের আঁধারে ও লুকিয়ে শিকার করা হচ্ছে মাছ। এক্ষেত্রে ঘুষ নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

গত এক যুগের বেশি সময় ধরে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ। বিষের কারণে জলজ প্রাণীর প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। অভ্যন্তরীণ মৎস্য ভান্ডার শূন্য হচ্ছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর মানুষ খাচ্ছে বিষাক্ত মাছ।

মূলত বন বিভাগের উদাসীনতার কারণেই অপরাধ দমন করা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দাদন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলেদের দিয়ে এ কাজ করাচ্ছেন। এই চক্র প্রতি মাসে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

প্রশ্ন হলো, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কেন দুষ্কর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এসব অসাধু চক্রের খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বন বিভাগ মাঝে-মধ্যে দুষ্কর্মকারীদের আটকও করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পরই তারা জামিন পেয়ে যান। আবার একই অপরাধ করেন।

অসঙ্গতি দূর করতে হলে প্রথমেই আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। অভিযুক্তদের কেউ যেন সহজে পার পেয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বন বিভাগের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চুনোপুঁটি নয়, রাঘববোয়াল ধরতে হবে। অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা দরকার। যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনিয়মে সহযোগিতা করছেন তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।