পরিবেশ অধিদফতরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি হাই স্কুলের পাশে, গ্রাম ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে আর এ এস ইটভাটা। যার কারণে ধুলো আর ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে।
জানা যায়, এমন অবস্থানের কারণে পরিবেশ অধিদফতর চলতি মৌসুমে ভাটাটির অনুমোদন স্থগিত করলেও ইট তৈরি বন্ধ হয়নি।
জানা গেছে, সদরপুর ও চরভদ্রাশন যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশে ১৯৮৪ সালে দিকে বিশ্বজাকের মঞ্জিল নামে সরকারি হাইস্কুল স্থাপিত হয়। তারও আগে থেকেই এখানে স্থানীয়দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসবাস । বছর কয়েক আগে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আর এ এস্ নামের ইটভাটা।
ফরিদপুরের পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সদরপুরে আর এ এস ব্রিক ফিল্ডটি হাইস্কুল ও জনবসতি এলাকায় হওয়ার কারণে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ও ভাটা চালানোর অনুমোদন দেয়া হয়নি। আর চলতি মৌসুমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না নিয়েই অবৈধভাবে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও এই উপজেলায় টিটু মোল্যার ভাটা, ফকির ভাটাসহ (একটা অংশসহ) একাধিক ভাটা রয়েছে, এসব ভাটা চালানোর অনুমোদন না থাকলেও বিনা বাধায় ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকজন ভাটার মালিকের সাথে কথা বললে, তারা অনুমোদন আছে বলেই জানান। কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে আগ্রহী না। তারা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে জেনে আসেন। আসলে এসব ভাটার কোন অনুমোদন নেই বলেই জানা যায়।
পরিবেশ অধিদফতরের জেলা অফিসে ফোন দিলে, দফতরের একজন বলেন, এই মুহূর্তে জানাতে পারব না, ফাইল বের করে দেখে পরে জানিয়ে দেব। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ এস.ইট ভাটার মালিকদের একজন, সুশীল দাস জানান আমার ভাটার সমস্ত কাগজপত্র আপডেট করা আছে। আমরা প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই কাগজপত্র আপডেট করেই ভাটায় আগুন দিয়েছি।
স্কুলের সাথে এবং সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে কীভাবে ভাটা চালাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারকে খাজনা, ট্যাক্স দিয়ে ভাটা চালাই।
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২ মাঘ ১৪২৭, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)
পরিবেশ অধিদফতরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি হাই স্কুলের পাশে, গ্রাম ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে আর এ এস ইটভাটা। যার কারণে ধুলো আর ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে।
জানা যায়, এমন অবস্থানের কারণে পরিবেশ অধিদফতর চলতি মৌসুমে ভাটাটির অনুমোদন স্থগিত করলেও ইট তৈরি বন্ধ হয়নি।
জানা গেছে, সদরপুর ও চরভদ্রাশন যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশে ১৯৮৪ সালে দিকে বিশ্বজাকের মঞ্জিল নামে সরকারি হাইস্কুল স্থাপিত হয়। তারও আগে থেকেই এখানে স্থানীয়দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসবাস । বছর কয়েক আগে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আর এ এস্ নামের ইটভাটা।
ফরিদপুরের পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সদরপুরে আর এ এস ব্রিক ফিল্ডটি হাইস্কুল ও জনবসতি এলাকায় হওয়ার কারণে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ও ভাটা চালানোর অনুমোদন দেয়া হয়নি। আর চলতি মৌসুমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না নিয়েই অবৈধভাবে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও এই উপজেলায় টিটু মোল্যার ভাটা, ফকির ভাটাসহ (একটা অংশসহ) একাধিক ভাটা রয়েছে, এসব ভাটা চালানোর অনুমোদন না থাকলেও বিনা বাধায় ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকজন ভাটার মালিকের সাথে কথা বললে, তারা অনুমোদন আছে বলেই জানান। কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে আগ্রহী না। তারা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে জেনে আসেন। আসলে এসব ভাটার কোন অনুমোদন নেই বলেই জানা যায়।
পরিবেশ অধিদফতরের জেলা অফিসে ফোন দিলে, দফতরের একজন বলেন, এই মুহূর্তে জানাতে পারব না, ফাইল বের করে দেখে পরে জানিয়ে দেব। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ এস.ইট ভাটার মালিকদের একজন, সুশীল দাস জানান আমার ভাটার সমস্ত কাগজপত্র আপডেট করা আছে। আমরা প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই কাগজপত্র আপডেট করেই ভাটায় আগুন দিয়েছি।
স্কুলের সাথে এবং সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে কীভাবে ভাটা চালাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারকে খাজনা, ট্যাক্স দিয়ে ভাটা চালাই।