দাবিকৃত ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় নিরীহ এক জেলেকে হরিণ শিকারি সাজিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালামের বিরুদ্ধে ।
আটক জেলে আলম শেখের ছোট ভাই দুলাল শেখ এক লিখিত অভিযোগে জানান, তার বড় ভাই আলম শেখ দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের অনুমতিক্রমে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে নৌকায় করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে । গত ১১ জানুয়ারি কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কাছে পৌঁছালে ওই টহল (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালাম সরকার তাকে নৌকাসহ আটক করে। পরে তিনি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবুল কালাম তার অফিসে মজুদ থাকা হরিণধরা ৪ হাজার পাঁশ ফুট নাইলনের ফাঁদ দিয়ে তার ভাইকে হরিণ শিকারি সাজিয়ে বাগেরহাট কারাগারে (আদালতে) চালান করে দেন।
তবে, জেলে পল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় জানান, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে আলম শেখ (৬০) গত ১৭ ডিসেম্বর দুবলা অফিস থেকে মাছ ধরার (অনুমতি) পাশ নেয় এবং গোন শেষে ২৩ ডিসেম্বর পাশ সারেন্ডার (অফিসে জমা) দিয়ে বাড়ি চলে যান।
অপরদিকে, কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিপ করেননি। এ ব্যাপারে শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ওই জেলেকে আটক করেছে কালাম সুতারং, তিনিই বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২ মাঘ ১৪২৭, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)
দাবিকৃত ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় নিরীহ এক জেলেকে হরিণ শিকারি সাজিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালামের বিরুদ্ধে ।
আটক জেলে আলম শেখের ছোট ভাই দুলাল শেখ এক লিখিত অভিযোগে জানান, তার বড় ভাই আলম শেখ দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের অনুমতিক্রমে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে নৌকায় করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে । গত ১১ জানুয়ারি কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কাছে পৌঁছালে ওই টহল (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালাম সরকার তাকে নৌকাসহ আটক করে। পরে তিনি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবুল কালাম তার অফিসে মজুদ থাকা হরিণধরা ৪ হাজার পাঁশ ফুট নাইলনের ফাঁদ দিয়ে তার ভাইকে হরিণ শিকারি সাজিয়ে বাগেরহাট কারাগারে (আদালতে) চালান করে দেন।
তবে, জেলে পল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় জানান, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে আলম শেখ (৬০) গত ১৭ ডিসেম্বর দুবলা অফিস থেকে মাছ ধরার (অনুমতি) পাশ নেয় এবং গোন শেষে ২৩ ডিসেম্বর পাশ সারেন্ডার (অফিসে জমা) দিয়ে বাড়ি চলে যান।
অপরদিকে, কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিপ করেননি। এ ব্যাপারে শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ওই জেলেকে আটক করেছে কালাম সুতারং, তিনিই বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।