আগর শিল্পের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

গতকাল আগর শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শিল্পের বেইজ লাইনের সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম নির্ধারণের জন্য আগর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. গোলাম মো. ফারুক, যুগ্ম-সচিব, পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা), বিসিক, ঢাকা। মতবিনিময় সভায় মৌলোভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক), স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৌলভীবাজার জেলার বিসিকের কর্মকর্তা ও ৩০ জন আগর শিল্পের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় আগর শিল্প উদ্যোক্তারা বিসিক আগর শিল্পনগরী ও আধুনিক পদ্ধতিতে আগর উৎপাদনের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আগর শিল্পের অপার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী আগর শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। ততপ্রেক্ষিতে ‘মৌলভীবাজার জেলার আগর শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান ও এর বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ’ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত বিসিক হতে ‘আগর শিল্পের উন্নয়ন’ শিরোনামে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে ডিপিপির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পিইসি সভায় প্রস্তাবিত ডিপিপি পর্যালোচনা করে আগর শিল্পের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে একটি বেইজ লাইন সার্ভে পরিচালনার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় ।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা সুজানগর আগর-আতরের জন্য বিখ্যাত। এর আশপাশের অঞ্চলে আগর চাষ করা হয়। বড়লেখা উপজেলাধীন সুজানগর, পাথারিয়া ও নিউ সমনবাগ অঞ্চল আগর চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। মোগল আমলে বৃহত্তর সিলেটে আগর শিল্পের সুনাম ছিল বিশ্বজুড়ে। আগর উড থেকে আহরিত তেল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সুগন্ধি। এই সুগন্ধির বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি একটি অ্যালকোহলমুক্ত সুগন্ধি। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে এ সুগন্ধির আকাশছোঁয়া চাহিদা বিশ্বজুড়ে। আগর উড থেকে তৈরি কাঠের টুকরা বা আগর তেল/ আগর আতর উভয়ই সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগর তেল ছাড়া কাঠ বা পাউডারজাত সামগ্রী থেকে ধূপের ন্যায় প্রজ্বলনের মাধ্যমে আগরের সুবাস নেয়া হয়। আগর উডের নির্যাস সুগন্ধি সাবান, স্যাম্পুসহ অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

আগর শিল্পের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল আগর শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শিল্পের বেইজ লাইনের সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম নির্ধারণের জন্য আগর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. গোলাম মো. ফারুক, যুগ্ম-সচিব, পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা), বিসিক, ঢাকা। মতবিনিময় সভায় মৌলোভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক), স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৌলভীবাজার জেলার বিসিকের কর্মকর্তা ও ৩০ জন আগর শিল্পের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় আগর শিল্প উদ্যোক্তারা বিসিক আগর শিল্পনগরী ও আধুনিক পদ্ধতিতে আগর উৎপাদনের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আগর শিল্পের অপার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী আগর শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। ততপ্রেক্ষিতে ‘মৌলভীবাজার জেলার আগর শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান ও এর বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ’ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত বিসিক হতে ‘আগর শিল্পের উন্নয়ন’ শিরোনামে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে ডিপিপির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পিইসি সভায় প্রস্তাবিত ডিপিপি পর্যালোচনা করে আগর শিল্পের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে একটি বেইজ লাইন সার্ভে পরিচালনার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় ।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা সুজানগর আগর-আতরের জন্য বিখ্যাত। এর আশপাশের অঞ্চলে আগর চাষ করা হয়। বড়লেখা উপজেলাধীন সুজানগর, পাথারিয়া ও নিউ সমনবাগ অঞ্চল আগর চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। মোগল আমলে বৃহত্তর সিলেটে আগর শিল্পের সুনাম ছিল বিশ্বজুড়ে। আগর উড থেকে আহরিত তেল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সুগন্ধি। এই সুগন্ধির বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি একটি অ্যালকোহলমুক্ত সুগন্ধি। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে এ সুগন্ধির আকাশছোঁয়া চাহিদা বিশ্বজুড়ে। আগর উড থেকে তৈরি কাঠের টুকরা বা আগর তেল/ আগর আতর উভয়ই সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগর তেল ছাড়া কাঠ বা পাউডারজাত সামগ্রী থেকে ধূপের ন্যায় প্রজ্বলনের মাধ্যমে আগরের সুবাস নেয়া হয়। আগর উডের নির্যাস সুগন্ধি সাবান, স্যাম্পুসহ অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।