গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনও সরকার একতরফাভাবে করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ব্যালট ও ইভিএম দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক কারচুপি করছে। গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনদেরই দখলে। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি, অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে, এমনকি বিএনপির সমর্থকদের কেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ওরা (ক্ষমতাসীন দল) কাদের সমর্থন পাচ্ছে? প্রশাসনের। তারা গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তারা বলে, এমপি যদি আমরা এভাবে হতে পারি তাহলে আমরা মেয়র এভাবে হবো না কেন?

সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের অবস্থা কী তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আমি তা বলতে চাই না। সত্যিকার ভোট হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নাকি দরজা খুঁজে পাবে না, এটা তো তাদের প্রার্থীর মুখ থেকেই আসছে। আসলেই তাই। ইভিএমে ভোটগ্রহণের কঠোর সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনের ভোটে দূরভিসন্ধি আছে।

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দেশের বাইরেও আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ১৩৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি, ৭ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি, ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। সম্মাননা কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের সভাপতিত্বে এ সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, ?মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।