বরিশালে হবে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’

দশ গ্রামের মানুষ পাবে শহরের সুযোগ-সুবিধা

বরিশাল জেলায় তৈরি হবে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’। থাকবে শহরের সব সুবিধা। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী স্রোত হ্রাস করতে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ (ভিলেজ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি গ্রামের মানুষ শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই ১০টি গ্রামের তালিকায় বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার যেকোন উপজেলায় হবে একটি গ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমবায় অধিদপ্তর ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ ধারণায় গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। দেশের ১০ জেলার ১০ উপজেলার ১০ গ্রামের গড়ে পাঁচ হাজার জন করে মোট ৫০ হাজার মানুষ প্রকল্পটির উপকারভোগী হবেন।

এই ১০টির তালিকায় রয়েছে বরিশাল জেলা। এরই মধ্যে দেশের ৮ বিভাগ থেকে নির্বাচিত ১০ গ্রামকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার’ আলোকে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠার আওতায় এই মডেল গ্রামগুলো প্রতিষ্ঠা করা হবে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ‘৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এসব মডেল গ্রাম গড়ে তোলার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই নির্দেশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এই মডেল গ্রাম তৈরির উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি এই প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করেছে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পিইসি সভার কার্যপত্রে দেখা গেছে, এই প্রকল্প দেশের ৮ বিভাগের নির্বাচিত জেলাগুলোয় বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইল জেলা রয়েছে।

ময়মনসিং বিভাগের জামালপুর, চট্টগ্রামের কুমিল্লা, সিলেটের সুনামগঞ্জ, খুলনার যশোর, রাজশাহীর রাজশাহী, রংপুরের রংপুর ও বরিশাল জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদেদ্যাগ বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের বড় অংশ হচ্ছে গ্রাম। প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছিলেন, শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে ১০টি গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি সফল হলে দেশব্যাপী বড় আকারে প্রকল্প নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘শহরের মতো না হলেও যেন শহরের কাছাকাছি পর্যায়ের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে পারি, সে ব্যবস্থা করা হবে এই প্রকল্পে।’

দেশে এখনও ৬০ ভাগ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সে বিবেচনায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে পল্লী উন্নয়নের ওপর ভরসা করতে হয়। বঙ্গবন্ধুও কৃষি ও পল্লী উন্নয়নকে সামগ্রিক উন্নয়নের মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সে লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এরই আলোকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে সমবায় অধিদপ্তর ‘আমার শহর আমার গ্রাম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে সম্পদের সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বাজার অবকাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপিতে দেখা গেছে, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রকল্প জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে সমবায় অধিদপ্তর। সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে ১০টি গ্রামের কৃষি খাতে ২৫ শতাংশ কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশের মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে ১০ গ্রামের ১০ হাজার লোককে দক্ষভাবে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

প্রত্যাশিত আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবে ১০টি সমবায় সমিতি গঠনসহ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ১০টি গ্রাম সমবায় সংগঠিত করা, কৃষি উৎপাদনের যান্ত্রিক ও উওম পদ্ধতির প্রচলন করা, ১০টি গ্রামে ২টি ১ একর পুকুরে মৎস্য চাষ ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ২টি গরু পালন মডেলের মাধ্যমে আধুনিক ও উত্তম পদ্ধতির প্রচলন, গ্রামীণ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্জাগরণ ও গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার কমানোর লক্ষে্য কাজ করা হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়েছে।

এর ফলে পিইসি সভাসহ অনুমোদনও তাড়াতাড়ি হবে। পাইলটিংয়ে সফল হলে প্রকল্পটি দেশব্যাপী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শহর ও গ্রামের বৈষম্য কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামের সঙ্গে শহরের দূরত্ব অনেক কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ পিইসি সভায় প্রকল্পটির ওপর পরিকল্পনা কমিশন মত দিয়ে বলেছে, প্রকল্পের উদ্দেশে ১০টি সমবায় সমিতি গঠন ও ৫ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যা উদ্দেশের পরিবর্তে প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

প্রস্তাবিত ডিপিপিতে অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে?্য ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ভবনগুলো নির্মাণে ১ বিঘা করে জমির প্রয়োজন। এজন্য কোন জমি অধিগ্রহণ করা হবে কিনা, তা উল্লেখ নেই। দুইতলা বিশিষ্ট ১০টি কমিউনিটি ভবনের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণে বিল অব কোয়ান্টিটি ধরে নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। স্যানিটারি, বৈদ্যুতিক কাজ, রাস্তা নির্মাণ, সীমানা প্রাচীরের ব্যয় প্রাক্কলন একইভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বরিশালে হবে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’

দশ গ্রামের মানুষ পাবে শহরের সুযোগ-সুবিধা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশাল জেলায় তৈরি হবে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’। থাকবে শহরের সব সুবিধা। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী স্রোত হ্রাস করতে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ (ভিলেজ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি গ্রামের মানুষ শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই ১০টি গ্রামের তালিকায় বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার যেকোন উপজেলায় হবে একটি গ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমবায় অধিদপ্তর ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ ধারণায় গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। দেশের ১০ জেলার ১০ উপজেলার ১০ গ্রামের গড়ে পাঁচ হাজার জন করে মোট ৫০ হাজার মানুষ প্রকল্পটির উপকারভোগী হবেন।

এই ১০টির তালিকায় রয়েছে বরিশাল জেলা। এরই মধ্যে দেশের ৮ বিভাগ থেকে নির্বাচিত ১০ গ্রামকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার’ আলোকে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠার আওতায় এই মডেল গ্রামগুলো প্রতিষ্ঠা করা হবে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ‘৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এসব মডেল গ্রাম গড়ে তোলার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই নির্দেশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এই মডেল গ্রাম তৈরির উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি এই প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করেছে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পিইসি সভার কার্যপত্রে দেখা গেছে, এই প্রকল্প দেশের ৮ বিভাগের নির্বাচিত জেলাগুলোয় বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইল জেলা রয়েছে।

ময়মনসিং বিভাগের জামালপুর, চট্টগ্রামের কুমিল্লা, সিলেটের সুনামগঞ্জ, খুলনার যশোর, রাজশাহীর রাজশাহী, রংপুরের রংপুর ও বরিশাল জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদেদ্যাগ বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের বড় অংশ হচ্ছে গ্রাম। প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছিলেন, শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে ১০টি গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি সফল হলে দেশব্যাপী বড় আকারে প্রকল্প নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘শহরের মতো না হলেও যেন শহরের কাছাকাছি পর্যায়ের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে পারি, সে ব্যবস্থা করা হবে এই প্রকল্পে।’

দেশে এখনও ৬০ ভাগ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সে বিবেচনায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে পল্লী উন্নয়নের ওপর ভরসা করতে হয়। বঙ্গবন্ধুও কৃষি ও পল্লী উন্নয়নকে সামগ্রিক উন্নয়নের মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সে লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এরই আলোকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে সমবায় অধিদপ্তর ‘আমার শহর আমার গ্রাম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে সম্পদের সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বাজার অবকাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপিতে দেখা গেছে, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রকল্প জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে সমবায় অধিদপ্তর। সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে ১০টি গ্রামের কৃষি খাতে ২৫ শতাংশ কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশের মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে ১০ গ্রামের ১০ হাজার লোককে দক্ষভাবে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

প্রত্যাশিত আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবে ১০টি সমবায় সমিতি গঠনসহ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ১০টি গ্রাম সমবায় সংগঠিত করা, কৃষি উৎপাদনের যান্ত্রিক ও উওম পদ্ধতির প্রচলন করা, ১০টি গ্রামে ২টি ১ একর পুকুরে মৎস্য চাষ ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ২টি গরু পালন মডেলের মাধ্যমে আধুনিক ও উত্তম পদ্ধতির প্রচলন, গ্রামীণ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্জাগরণ ও গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার কমানোর লক্ষে্য কাজ করা হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়েছে।

এর ফলে পিইসি সভাসহ অনুমোদনও তাড়াতাড়ি হবে। পাইলটিংয়ে সফল হলে প্রকল্পটি দেশব্যাপী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শহর ও গ্রামের বৈষম্য কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামের সঙ্গে শহরের দূরত্ব অনেক কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ পিইসি সভায় প্রকল্পটির ওপর পরিকল্পনা কমিশন মত দিয়ে বলেছে, প্রকল্পের উদ্দেশে ১০টি সমবায় সমিতি গঠন ও ৫ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যা উদ্দেশের পরিবর্তে প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

প্রস্তাবিত ডিপিপিতে অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে?্য ১০টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ভবনগুলো নির্মাণে ১ বিঘা করে জমির প্রয়োজন। এজন্য কোন জমি অধিগ্রহণ করা হবে কিনা, তা উল্লেখ নেই। দুইতলা বিশিষ্ট ১০টি কমিউনিটি ভবনের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণে বিল অব কোয়ান্টিটি ধরে নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। স্যানিটারি, বৈদ্যুতিক কাজ, রাস্তা নির্মাণ, সীমানা প্রাচীরের ব্যয় প্রাক্কলন একইভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।