বিশ্বের বৃহত্তম করোনার টিকাদান কর্মসূচি ভারতে

করোনাভাইরাস রোধে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এনডিটিভি

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিনের’ টিকা প্রথমে দেশটির তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কর্মীদের দেয়া হবে।

কর্মসূচির প্রথম দিন ভারতজুড়ে প্রায় তিন লাখ মানুষকে করোনা টিকার দুই ডোজের প্রথমটি দেয়া হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, ‘জনসংখ্যা তিন কোটি নয় এমন দেশ বিশ্বে আছে। ভারত টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ধাপেই তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দিচ্ছে। পরের ধাপে আমরা এ সংখ্যা ৩০ কোটিতে নিয়ে যাব। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বের বৃহত্তম।’ ভারতে তৈরি করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শিশুদের দেয়া প্রায় ৬০ শতাংশ টিকা ভারতে উৎপাদন হয়।

ভারতের টিকাবিষয়ক বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশ্ববাসীর আস্থা রয়েছে।’

এ সময় ভারতীয় করোনা টিকার সামর্থ্য ও ব্যবহারকারীবান্ধব প্রকৃতির কথাও বলেন মোদি।

তিনি বলেন, ‘বিদেশে তৈরি করোনার কয়েকটি টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কয়েকটি টিকার একটি ডোজের দাম পাঁচ হাজার রুপির বেশি। সে তুলনায় ভারতীয় টিকা সস্তা। এর ব্যবহারও সহজ।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাইজার উদ্ভাবিত করোনার টিকা দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ভারতে আবেদন করেছিল।

টিকার একটি ডোজ নিয়েই সুবিধাভোগীদের ক্ষান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান মোদি। তিনি বলেন, ‘করোনা টিকার ডোজ দুইটি। দুইটিই নিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর ফল পেতে কিছু সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্যচ্যুত হওয়া যাবে না।’

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিশ্বের বৃহত্তম করোনার টিকাদান কর্মসূচি ভারতে

করোনাভাইরাস রোধে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এনডিটিভি

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিনের’ টিকা প্রথমে দেশটির তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কর্মীদের দেয়া হবে।

কর্মসূচির প্রথম দিন ভারতজুড়ে প্রায় তিন লাখ মানুষকে করোনা টিকার দুই ডোজের প্রথমটি দেয়া হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, ‘জনসংখ্যা তিন কোটি নয় এমন দেশ বিশ্বে আছে। ভারত টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ধাপেই তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দিচ্ছে। পরের ধাপে আমরা এ সংখ্যা ৩০ কোটিতে নিয়ে যাব। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বের বৃহত্তম।’ ভারতে তৈরি করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শিশুদের দেয়া প্রায় ৬০ শতাংশ টিকা ভারতে উৎপাদন হয়।

ভারতের টিকাবিষয়ক বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশ্ববাসীর আস্থা রয়েছে।’

এ সময় ভারতীয় করোনা টিকার সামর্থ্য ও ব্যবহারকারীবান্ধব প্রকৃতির কথাও বলেন মোদি।

তিনি বলেন, ‘বিদেশে তৈরি করোনার কয়েকটি টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কয়েকটি টিকার একটি ডোজের দাম পাঁচ হাজার রুপির বেশি। সে তুলনায় ভারতীয় টিকা সস্তা। এর ব্যবহারও সহজ।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাইজার উদ্ভাবিত করোনার টিকা দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ভারতে আবেদন করেছিল।

টিকার একটি ডোজ নিয়েই সুবিধাভোগীদের ক্ষান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান মোদি। তিনি বলেন, ‘করোনা টিকার ডোজ দুইটি। দুইটিই নিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর ফল পেতে কিছু সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্যচ্যুত হওয়া যাবে না।’