ফাইজারের টিকা নেয়ার পরও নরওয়েতে ২৩ প্রবীণের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নরওয়েতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও অনেকে। তাদের সবাইকে দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়ো-এনটেক উদ্ভাবিত টিকা। নরেজিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বলছে, গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই টিকা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

দেশটির ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ বলেছে, ‘যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে টিকার খুব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। যাদের জীবনকাল শেষ প্রান্তে তাদের ক্ষেত্রে টিকা নেয়ার উপকারিতা খুবই সীমিত বা অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে।’ এ নির্দেশনা যেসব তরুণ সুস্থ মানুষ টিকা পরিহার করে চলছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তবে টিকার এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে কোভিড টিকার নিরাপত্তা বিষয়টিতে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানালেন ইইউর মেডিসিন অ্যাজেন্সির প্রধান এমার কুক।

নরওয়ের মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে ফাইজার ও বায়ো-এনটেক। ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফাইজার জানিয়েছে, বিষয়টা উদ্বেগের কিছু নয়। এমনটা প্রত্যাশিতই। ফাইজারের টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত যে অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তা হলো অ্যালার্জিগত সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২১ জন তীব্র অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগেছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনাও দিয়েছে ফাইজার। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদেরকে এই টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ফাইজারের পাশাপাশি মডার্নার টিকাও গ্রহণ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই টিকাগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

নরওয়েতে এরই মধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষকে। যারা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদেরকেই প্রথমে এই টিকা দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে মডার্নার টিকাও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ফাইজারের টিকা নেয়ার পরও নরওয়েতে ২৩ প্রবীণের মৃত্যু

image

করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নরওয়েতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও অনেকে। তাদের সবাইকে দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়ো-এনটেক উদ্ভাবিত টিকা। নরেজিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বলছে, গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই টিকা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

দেশটির ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ বলেছে, ‘যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে টিকার খুব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। যাদের জীবনকাল শেষ প্রান্তে তাদের ক্ষেত্রে টিকা নেয়ার উপকারিতা খুবই সীমিত বা অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে।’ এ নির্দেশনা যেসব তরুণ সুস্থ মানুষ টিকা পরিহার করে চলছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তবে টিকার এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে কোভিড টিকার নিরাপত্তা বিষয়টিতে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানালেন ইইউর মেডিসিন অ্যাজেন্সির প্রধান এমার কুক।

নরওয়ের মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে ফাইজার ও বায়ো-এনটেক। ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফাইজার জানিয়েছে, বিষয়টা উদ্বেগের কিছু নয়। এমনটা প্রত্যাশিতই। ফাইজারের টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত যে অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তা হলো অ্যালার্জিগত সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২১ জন তীব্র অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগেছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনাও দিয়েছে ফাইজার। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদেরকে এই টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ফাইজারের পাশাপাশি মডার্নার টিকাও গ্রহণ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই টিকাগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

নরওয়েতে এরই মধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষকে। যারা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদেরকেই প্রথমে এই টিকা দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে মডার্নার টিকাও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।