চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মহানগরের লালখানবাজার ওয়ার্ডের টাইগারপাস বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

জানা গেছে, লালখানবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল গতকাল। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ যোগ দেয়ার কথা ছিল। অতিথিরা আসার আগে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম তাদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখী হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মহানগরের লালখানবাজার ওয়ার্ডের টাইগারপাস বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

জানা গেছে, লালখানবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল গতকাল। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ যোগ দেয়ার কথা ছিল। অতিথিরা আসার আগে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম তাদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখী হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।