পাবনার সাথিয়া, ভোলার লালমোহন ও খুলনায় গতকাল জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে।

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনার সাঁথিয়ায় গতকাল জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দু’জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার ধোপদহ ইউনিয়নের নাড়িয়াগদাই গ্রামের সাহেব উদ্দিনের ছেলে মুন্নাফ (৪২) ও তার মামাতো ভাই পাইকশা গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৭)।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে নাড়িয়াগদাই বাজারে ক্রয়কৃত জমিতে মুন্নাফ হোসেন ঘর তুলতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষের গোলাম আজম বাচ্চু গ্রুপের সিদ্দিক জমির মালিকানা দাবি করে ঘর তুলতে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মুন্নাফ ও সাঁথিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে নাছির মারা যান। সংঘর্ষে রওশন, মাহতাব, সামাদ, আকরাম ও ইয়াছিন নামে ৫ জন আহত হন।

গুরুতর আহত রওশন ও মাহতাবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানা পুলিশের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটে। পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধি, লালমোহন ভোলা জানান, ভোলার লালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউসুফ আলী আরিন্দা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ১নং ওয়ার্ড কচুখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউসুফ আলী আরিন্দ ওই এলাকার মৃত গফুর আলী আরিন্দার ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে শাহে আলম, পুত্রবধূ মমতাজসহ আরও ২ জন।

নিহতের ছেলে শাহে আলম জানান, সকালে বাড়ির পাশের ফসলি জমির বেড়া দিতে গেলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আজাহার, ছিটু, ইব্রাহিম, শহিদুল, জাকির ও আল ইসলামদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্র্ষে রূপ নেয়। এ সময় হামলার শিকার হয়ে নিজ বাড়িতেই মারা যায় বৃদ্ধ ইউসুফ আলী। এ বিষয়ে জানতে আজহারদের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি।

লালমোহন থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য ভোলা পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহে আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান থানার এ কর্মকর্তা।